ঢাকা: পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের মামলায় গ্রেফতার দেখাতে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে ঢাকার আদালতে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়।
এখন তিনি সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে বাবুল আক্তারকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম।
রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আসামিপক্ষ বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখাতে পি/ডব্লিউ (হাজিরা পরোয়ানা) চেয়েছিল। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাবুল আক্তারকে আদালতে আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরাও তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছি। তবে সেই রিমান্ড শুনানির বিষয়ে আদালত থেকে কোনো তারিখ পাইনি। আজ সেই রিমান্ড শুনানি হতে পারে অথবা শুনানির জন্য একটা তারিখও রাখা হতে পারে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন—বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পিবিআইর তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সম্প্রতি বাবুলের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওতে বলা হয়েছে, এ মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান।
এছাড়াও তাকে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছে, মিথ্যা সাক্ষীও সাজানো হয় বলে ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়।