জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ভারত থেক আমদানীকৃত পাথরের উপর সরকারি অতিরিক্ত শুল্কায়ন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে পাথর আমদানী বন্ধ করে দিয়েছেন।
তামাবিল স্থলবন্দরের আমদানী-রপ্তানীকারক ব্যবসায়ীরা ৮ জানুয়ারি থেকে ভারতীয় পাথর আমদানী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
সোমবার সকালে সরজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায় তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর বুঝাই কোন ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশ প্রবেশ করে নাই।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)'র অতিরিক্ত শুল্কায়ন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সকাল ১২টায় তামাবিল স্থলবন্দরে স্থানীয় আমদানীকারক ব্যবসায়ী সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তামাবিল চুনা পাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপ ভারত থেকে পাথর আমদানী বন্ধের ঘোষনা দেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন তামাবিল চুনা পাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী। সভায় তামাবিল চুনা পাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি মো: জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন (ছেদু), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল আহমদ, সদস্য জাকির হোসেন (আর্মি), আব্দুল করিম রাসেল, সৈয়দ শামীম আহমদ সহ আমদানীকারক ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবী জানান। এ বিষয়ে তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী জানান , জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির উপর এ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি করে। এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই তামাবিল সহ সিলেটের সবক'টি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক সিলেট অঞ্চলের স্থলবন্দর গুলোতে ভারত থেকে আমদানী করা বোল্ডার স্টোন, স্টোন চিপস এবং লাইমস্টোন পাথরের উপর অতিরিক্ত শুল্কায়ন মুল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত সিলেট কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃক গত ৪ জানুয়ারি এক পত্রে ৮ জানুয়ারি থেকে শুল্কায়ন মুল্য কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।