ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

থানচিতে টাকা নিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির অভিযোগ

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি। | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ ১১:৫৪:০০ পূর্বাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন
বান্দরবান থানচিতে বলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিরুদ্ধে স্কুল ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সারাদেশে ন্যায় ০১লা জানুয়ারি হতে স্কুল ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে থানচিতে। স্বাভাবিক ভাবেই স্কুল ভর্তির শুরু হলেও থানচি উপজেলার বলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা উয়ইনু মারমা বিরুদ্ধে নিজের খেয়াল খুশিমতো স্কুল ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠে। 
 
এ নিয়ে মনাই পাড়া হ্লাঅংপ্রু মারমা বলেন, বলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার মেয়ে ছাইংএনু মারমা কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করালাম।  ভর্তির সময় অন্যরা যেভাবে টাকা দিতে হয়েছে আমিও সেভাবে ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে।
হিন্দু পাড়া বাসিন্দা বলিপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার ও বলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যেৎসাহী সদস্য সজল কর্মকার বলেন, আমার মেয়েকেও বলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি করেছি। ভর্তি সময় ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির কৃত অভিভাবক বলেন, এই স্কুলে অনেক অনিয়ম আছে, তবুও বলার কেউই নেই। আর অভিযোগ করেও লাভ কি, কোন পরিবর্তন হবে না। গরীব মানুষ বাধ্য হয়েই আবারো আমার মেয়েকে এই স্কুলে ভর্তি করেছি। ভর্তির সময় ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে।
 
বলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভর্তির সময় টাকা নেয়ার বিষয়টি আমাদের মতামত নেয়া হয়নি। এটা প্রধান শিক্ষিকা একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, টাকা নেয়ার বিষয়টি আমাদের কোন ভূমিকা নেই। 
 
এ নিয়ে বলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা উয়ইনু মারমাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুর্যোগের জন্য ৫০ টাকা আর উপবৃত্তির জন্য অগ্রিম ফরম ফিলাপ বাবদ ১০০ টাকা নিচ্ছি। 
 
এ নিয়ে বলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ আকতার হোসেন বলেন, স্কুল ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা নেয়ার কথা শুনেছি। টাকা নেয়ার বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির কোন আলোচনা কিম্বা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আমার জানা নাই। এটা প্রধান শিক্ষিকা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
 
এ নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ত্রিরত্ন চাকমা বলেন, ১ম ও ২য় শ্রেণীর পুরো সেট বই দয়া হয়েছে। ৩য়, ৪র্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর দু,টি বই দেয়া হয়ে হয়েছে, গতকাল ধর্মবই চলে এসেছে বাকিটা জেলা থেকে পাঠানো হলে সবগুলো বই দেয়া হবে। ১ম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুল ভর্তি সম্পূর্ণ ভাবে সরকারি খরচে। সেশন পরিক্ষা নির্ধারিত ফি ছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত কোন টাকা পয়সা নেয়া হয় না। টাকা নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।