মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার আকুতি জানিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের ঘোষিত দলেও রাখা হয়েছিল সাকিবকে। নির্বাচক হান্নান সরকার জানান, বিসিবির সবুজ সংকেত পেয়েই তাকে দলে নিয়েছেন।
মনে হচ্ছিল বিদায়ী টেস্ট খেলার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে সাকিবের। তবে সেটি যে এখন একরকম থমকে গেছে সেটা স্বীকার করেছেন সাকিব নিজেই। একটি টেলিভেশন চ্যানেলকে তিনি জানিয়েছেন, দেশে ফেরা হচ্ছে না তার।
এর পেছনে নিরাপত্তাকেই কারণ হিসেবে বলছেন তিনি। তার নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাকে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে সাকিব এখন অবস্থান করছেন দুবাইয়ে। ওখান থেকে তার দেশে ফেরার কথা ছিল বৃহস্পতিবার রাতে।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যাওয়ার পর সাকিবের নামে হত্যা মামলা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চুপ থাকায় তার প্রতি ক্ষোভ আছে জনতার মনেও। এর মধ্যেই তার দেশে ফেরার খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে মিরপুর স্টেডিয়ামের দেয়ালে বিভিন্ন স্লোগান লেখা হয়েছে।
কয়েকদিন ধরে শেরে বাংলার সামনে নিয়মিত বিক্ষোভও হচ্ছে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাকিবের কুশপত্তলিকা দাহ করা হয়। এরপরই অনিশ্চয়তায় পড়ে যায় সাকিবের দেশে ফেরা।
বায়ান্ন/অনিক