ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাকেশ রায় নামে এক ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। মঙ্গলবার আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় সিলেটর সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাশেম এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রাকেশ রায়বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাবাধিকার কর্মী।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তফা দিলওয়ার আল আজহার জানান, রাকেশের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ এর ২ ধারায় মামলাকরা হয়েছিলো। যা এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুপান্তরিত হয়েছে। মামলার শুনানি ও যুক্তিতর্ক শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রাকেশ রায়কে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন, রায় ঘোষণাকালে জামিনে থাকা রাকেশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ফেসবুকে ধর্ম অবমাননানার অভিযোগে রাকেশ রায়কে ২০১৭ সালের ৭ জুন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে ওই বছরের জুন মাসে রাকেশের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেন ফুযায়েল আহমদ নামের এক ব্যক্তি। বাদি ও বিবাদি দুজনের বাড়িই জকিগঞ্জ উপজেলায়।
মামলার এজাহারে রাকেশের বিরুদ্ধে ফেসবুকে নিজের একাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্ম, মহানবী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তির অভািযোগ আনা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন জানিয়ে রাকেশের আইনজীবী ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী বলেন, আইনজীবী হিসেবে আমি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বলতে পারি না। তবে ন্যায় বিচারের আশায় আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
এই মামলার ব্যাপারে জামিনে থাকাকালীন সময়ে রাকেশ রায় বলেছিলেন, তার নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি তৈরি করে এসব ছড়িয়েছে একটি গোষ্ঠি।
তার অভিযোগ, আবদুল আজিজ নামে এক লোক জকিগঞ্জের হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্ঠা করছিলো। তিনি এসবের প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে ভূয়া ফেসবুক আইডি খুলে ধর্ম নিয়ে লেখা হয়। পরে আইসিটি আইনে মামলা করা হয়।