চলতি রবি মৌসুমে নওগাঁ জেলায় মোট ৭০১৭১ জমিতে সরিষা আবাদ দেড় লক্ষ মত নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া ভালো থাকলে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষা ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় কৃষকে মুখে হাসি ফুটবে বলে আশা করা যায়।সঙ্গে ভালো দামেরও আশা রয়েছে।
চলতি মৌসুমে জেলার কৃষকরা স্থায়ীভাবে ব্যাপকভাবে বারী সরিষা -১৪,১৭,১৮,১৯, টরী-৭,বীনা-৪,১৮ ও ১৭ যাতে সরিষা চাষ করেছেন। তবে গত বছরে ফলন ভালো হওয়ার কারণে কৃষকরা বাড়ি সরিষা-১৪ বেশি লাগিয়েছেন বলে জানা গেছে। বারী সরিষা-১৪ বিঘা প্রতি ১০-১২ মন, টরি সরিষা-৭ বিঘা প্রতি ৬-৮ মন এবং বীনা জাতীয় সরিষা ৬-৭ মন করে ফলন হতে পারে বলে কৃষকরা মনে করছেন।
সরিষার বর্তমান বাজার দর প্রতি মন ৩ হাজার ৮ শত থেকে ৪ হাজার টাকা হলেও নতুন সরিষা ওঠার সময় এর দাম কিছুটা কমে মন প্রতি ২৫শত থেকে ৩ হাজার টাকা হতে পারে বলে কৃষকরা মনে করছেন।
কৃষকেরা সরিষার ক্ষেত দেখে খুশি হলেও দাম নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছেন। তবে বর্তমান যে বাজার দর রয়েছে তা থাকলে তাদের কোন সমস্যা হবে না বলে জানান তারা। কোন কারণে দাম কম হলে সরিষা চাষ করতে যে খরচ হয়েছে তা মিটিয়ে নিজের কাছে অবশিষ্ট কিছুই থাকবে না বলে মনে করছেন তারা।
জেলা মান্দা ও পোরশা উপজেলায় কয়েক জন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, তাদের ক্ষেত ভালো হয়েছে এবং আশা করছেন ফলনও ভালো হবে। তবে দাম কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তিত।
পৃথিবী ও আগের তথ্য অনুযায়ী উপজেলা ভিত্তিক সরিষা চাষের জমির পরিমাণ হচ্ছে, নওগাঁ সদর উপজেলার ৪ হাজার ৩৮০ হেক্টর, রানীনগরের ৭ হাজার২৪০, আত্রায়ে ৬ হাজার ৭৬৫, বদলগাছীদের ৩ হাজার ৩৯০, মহাদেবপুরে ৪ হাজার ২৫০ সেক্টর,পত্নীতলায় ৬ হাজার ৯২০, ধামুরহাটে ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর,সাপাহারে ৬ হাজার ৭১০,পোরশায় ৮ হাজার ২৩০,মান্দায় ৮ হাজার ২১৫, এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৮৪৫০ হেক্টর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রণোদনার আওতাভুক্ত জেলার প্রত্যেক প্রান্তিক সরিষা চাষীকে সরকারি প্রণয় হিসেবে এক বিঘা জমির বিপরীতে বিনামূল্যে ০১ কেজি বিজ ১০ কেজি এমপিও সার এবং ১০ কেজি করে ডিএফপি সার দেওয়া হয়েছে। মূল্য আর্থিক মূল্য ৫২৫ টাকা। সে হিসেবে প্রণোদনার পাওয়া জেলার ৫৭ হাজার কৃষকের অনুকূলে দেওয়া বীজ ও সারের মোট আর্থিক মূল্য ২ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে সরিষার ক্ষেত খুব ভালো দেখা যাচ্ছে। হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। কৃষকেরা ভবিষ্যতে সরিষা চাচ্ছে চাষের প্রতি আগ্রহ দেখাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন।