ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নবীগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ

জুবের আহমদ: | প্রকাশের সময় : সোমবার ৪ এপ্রিল ২০২২ ০৭:২৮:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়



হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।  গ্যাসের সঙ্গে বালু উঠে আসায় ছয়টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে রোববার দুপুরে প্রায় ৪৫ কোটি ঘনফুট উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে গ্যাস সরবরাহে বড় ধরনের সংকট দেখা দেয়।

রোববার রাতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এই সমস্যা আরও কয়েকদিন থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তি বলছে, দুপুরে হঠাৎ সিলেট বিভাগরে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাসের সঙ্গে বালু উঠে আসে। কোন কূপ থেকে উঠছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। তাই জরুরি ভিত্তিতে ছয়টি কূপের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শেভরন বাংলাদেশের মুখপাত্র শেখ জাহিদুর রহমান রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাস প্রক্রিয়াকরণের দুটি ইউনিটে বেলা সোয়া একটা থেকে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে গ্যাসের উৎপাদন কমে গেছে। পুরোপুরি উৎপাদনে ফেরানোর কাজ চলছে। কখন আবার উৎপাদন শুরু হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বিবিয়ানা বর্তমানে সবচেয়ে বড় গ্যাস উৎপাদন ক্ষেত্র। হঠাৎ উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে গ্যাসের সরবরাহ কমতে থাকে। ঢাকার গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাসের অভিযোগ কেন্দ্রে দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ভোক্তারা অভিযোগ জানাতে থাকেন। মোহাম্মদপুর, মিরপুর, মগবাজার, কাঁঠালবাগান, কলাবাগান থেকে বারবার ফোন করেন গ্রাহকেরা।

সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। উৎপাদনের জন্য গ্যাসের যে পরিমাণ চাপ দরকার হয়, তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ পাওয়া গেছে। এটা দিয়ে বেশির ভাগ কারখানায় উৎপাদন সম্ভব হয় না।

পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) মো. আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সরবরাহ কমায় গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন কিছুটা কমানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি। ময়মনসিংহসহ কিছু এলাকায় লোডশেড হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে দুঃখপ্রকাশ করে রোববার দুই দফা বিবৃতি দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রথম দফায় বলা হয়, শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের সৃষ্টি হতে পারে। অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন। দ্বিতীয় দফা বিবৃতিতে বলা হয়, গ্যাস সরবরাহ ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে। কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে।