নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) বলেছেন, অন্যান্য নির্বাচনের চেয়ে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের পরিবেশ ভাল রয়েছে। এখনও কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। প্রত্যেক প্রার্থী যার যার মতো প্রচার- প্রচারণা চালাচ্ছেন। কারও কোন অভিযোগ নেই। বর্তমানে যে পরিস্থিতি রয়েছে তাতে এ উপ-নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদীয় আসন-১৩৬, টাঙ্গাইল-৭ এর উপ-নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনির সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল-৭ আসনে উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাহিদুল নবী চৌধুরী, সহকারী রিটার্নিং অফিসার এএইচএম কামরুল হাসান প্রমুখ।
ভোট কারচুপির বিষয়ে শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, ভোট কেন্দ্রের বুথে ঢুকে যাতে এক জনের ভোট অন্যজন দিতে না পারে- এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদের শক্তভাবে নির্দেশনা দিতে হবে। কোন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিতে হবে। এটা না করা হলে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটুও পিছপা হবে না। আর অনেকগুলো কেন্দ্রে এ রকম অনিয়ম হলে পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দিতে হবে বলে রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশনা দেন তিনি। তিনি বলেন, অনিয়ম বা ভোট কারচুপির সাথে কোন প্রার্থীর এজেন্ট জড়িত থাকার বিষয় প্রমাণিত হলে তার প্রার্থীতা বাজেয়াপ্তসহ প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে অনিয়ম ও কোন ধরণের শিথিলতা নির্বাচন কমিশন মেনে নেবে না। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের এজেন্টদের সাধারণত হয়রানি করা হয়- এ ধরণের কর্মকান্ড করে যাতে নির্বাচনী আমেজ নষ্ট না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভোটাররা যাতে অনুভব করতে পারে- অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোট গ্রহণের পর যাতে প্রত্যেকটি ভোটার নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সে দিকেও সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে। শুধু ভোটের দিন নয়- ভোটের পরেও যাতে কোন সহিংসতা না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। করোনা প্রতিরোধে সরকারের প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে শাহাদত হোসেন বলেন, করোনা প্রতিরোধে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে সেটি মেনেই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইনে দাঁড়ানোসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী রাখা হবে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে টাঙ্গাইলবাসী অত্যন্ত সচেতন। নির্বাচনে করোনার কোন নেতিবাচক আবহ হবে বলে তিনি মনে করেন না।
উল্লেখ্য, আগামি ১৬ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
