যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে নৌকার কর্মীদের হামলায় কুতুব উদ্দিন (৩৫) নামে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১১ জন। তাদের গুরুতর অবস্থায় শার্শা উপজেলা হাসপাতাল ও যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ও বিকালে দুই দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত কুতুব উদ্দিন ওই ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে।
আহতরা জানিয়েছেন, সকালে একই ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে নৌকার প্রার্থী হাসান ফিরোজ টিংকুর কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফ হোসেনের কর্মী ও স্থানীয় মেম্বার প্রার্থী বাবলু রহমানের ভাই আরিফ ইকবাল (৩৮) কে কুপিয়ে আহত করে। বিকেল ৫টার দিকে রুদ্রপুর বাজারে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে বর্তমান মেম্বার হবিবর রহমানের সাথে তার আপন চাচাতো ভাই মেম্বর প্রার্থী ইকতিয়ারের সাথে তর্ক হয়। এ সময় আরেক পক্ষ এসে তর্কে যোগ দিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, ককটেল ও বোমা হামলা করে। এ সময় নৌকা সমর্থক বর্তমান মেম্বার ও মেম্বার প্রার্থী হবিবার (৫০), আক্কাচ (৩৫), আজগার (৩৫), মাসুদ (২৫), আইনাল (৪০) ও মন্টু (৫০)। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক মেম্বার প্রার্থী ইকতিয়ার (২৫), আলাউদ্দিন (৫৫), আরশাদ (৬০) ও সাহাবুদ্দিন (৪০) আহত হয়। আহতদের শার্শা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তির পর ৭ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের সন্ধ্যার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে কুতুব উদ্দিন মারা যান।
এদের মধ্যে মন্টু ও আরশাদের অবস্থা আশংকাজনক। এদের মধ্যে হবিবর মেম্বার নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু ও চাচাতো ভাই ইকতিয়ার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেনের সমর্থক।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে কুতুব উদ্দিন মারা গেছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে যশোরের নাভারণ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান দাবি করেছেন, দুই মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। শার্শা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। #