জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনের অবস্থান নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে একটি গণপদযাত্রা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। শিক্ষাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করার কথা ছিল তাদের।
এদিন দুপুরে ১২ সদস্যের শিক্ষাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। ওই দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অসম্মতি ও অপারগতা প্রকাশ করেন শিক্ষাসচিব। এর প্রতিবাদে সচিবালয়ের সামনেই অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষাসচিবের সাক্ষাৎ না পেয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, এখন আর সচিব নয়, শিক্ষা উপদেষ্টাকে আসতে হবে আমাদের সামনে। সচিবের সময় শেষ হয়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন শিকদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে যতটুকু সুযোগ-সুবিধা পাওয়া দরকার তা জবিয়ানরা পায় না। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় সবার শেষের আগেরটা জবি, এরপর থাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা এই বৈষম্য মেনে নেব না।
ইউজিসির পাইলট প্রজেক্টের বিষয়ে তিনি বলেন, পাইলট প্রজেক্টের কাজ এখনো শুরু হয়নি। তবে শুরু হলে অবশ্যই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েই শুরু করতে হবে।
এদিকে অবরোধের কারণে ঢাকা শহরের বিভিন্ন রুটের যাওয়ার পাঁচটি মুখে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এ দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে।
৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৪. সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণা করা পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।
বায়ান্ন/এসএ