বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ফ্যাসিবাদ কত ভয়ংকর ছিল তা আপনাদের সবার জানা। ফ্যাসিবাদের
যে সিস্টেম, ফ্যাসিবাদের যে ধারা সেটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই ফ্যাসিবাদ যেন বাংলার মাটিতে আর ফিরে আসতে না পারে সেই শপথ নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। সেই অঙ্গিকার নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ বিলুপ্তি পিছনে আপনাদের সকলের অবদান রয়েছে। আমরা নির্বাচন চাচ্ছি, কিন্তু আমরা কখনো বলিনি নির্বাচনে জয়ী হলে আমরা এককভাবে রাষ্ট্র চালাবো। আমরা জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সরকার পরিচালিত করবো। যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে, যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে।
বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর থানা তন্তুবায় সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ্যানি বলেন, আজ অনেকে অনেক রকম বক্তব্য দিচ্ছে। এটি হয়তো তাদের রাজনৈতিক কারণে এখন একেকজন একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আমরা সবাই কিন্তু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। গুমের শিকার হয়েছি, হত্যার শিকার হয়েছি, নির্যাতনের শিকার হয়েছি, জেল খেটেছি। নিএনপি এবং জামায়াত একই সঙ্গে জেল খেটেছি, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে। এখন যদি আমরা এক এক জন একেক সুরে কথা বলি তাহলে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নিবে, ফ্যাদিবাদ আবার ফিরে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু ফ্যাসিবাদকে সুযোগ দেওয়া যাবেনা।
ফ্যাসিবাদ যেন কোনো সুযোগ না পায়, ঐক্যের মধ্যে যেন ফাটল না ধরাতে পারে সেদিকে জামায়াত ইসলামেরও দায়িত্ব আছে, আমাদেরও আছে। আমরা এ দেশের মানুষকে অভয় দিতে চাই। আপনার আদর্শের রাজনীতি আপনি করবেন, আমার আদর্শের রাজনীতি আমি করবো। কিন্তু ফ্যাসিবাদকে আনার রাজনীতি করা যাবে না। কর্তৃত্ববাদকে আবার কর্তৃত্ব করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।
লক্ষ্মীপুর থানা তন্তুবায় সমবায় সমিতির সভাতি ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী, জেলা সমবায় কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন রুমি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও তন্তুবায় সমিতির সদস্য শামছুল করিম খোকন, লক্ষ্মীপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এম আর মাসুদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ গোলাম মোস্তফা, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, থানা তন্তুবায় সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম এ হাসেম প্রমুখ।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে