ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চারদিকে ইটে ঘেরা চত্বর এখন ফসলের সবুজ মাঠ

বগুড়া প্রতিনিধিঃ | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৬ জুন ২০২৩ ০৯:৩০:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

 মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা স্বনির্ভর কৃষি নিশ্চিতে এক ইঞ্চি জমিও পতিত কিংবা অনাবাদী রাখা যাবে এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন বগুড়ার বিভিন্ন সরকারী দপ্তর গুলোতে শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবে রুপ দিতে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাদের অফিসের সামনে পতিত জায়গা চাষের আওতায় নিয়ে এসেছে। ঘাস আর জঙ্গল পরিস্কার করে সেখানে লাগানো হয়েছে শশা, ঝিঙ্গে, বরবটি, পেপে, ডাঙ্গা, আদা, লালশাক, মিষ্টি কুমড়া, পুই শাকসহ নানা ধরণের সবজি চাষ।  চারদিকে ইটে ঘেরা চত্বর এখন ফসলের সবুজ মাঠ।

অফিসের পতিত জায়গায় চাষ হওয়া অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দৈন্দিন যে সবজির চাহিদা তা মিটে যাচ্ছে। এছাড়া অফিসে কোন কর্মকর্তা আসলে তাকেও বিষমুক্ত একটু শাক-সবজি তুলে দেয়া হচ্ছে। এতে তারাও খুশি হচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তার অফিসের সামনে পরিত্যক্ত ও পতিত জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন। নিজের হাতে সবজি বাগান পরিচর্চা করে প্রশংসিত হয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে গাছে গাছে ঝুলছে শিম, টমেটো, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, লালশাক, ডাটাশাক, পুঁইশাক, ধনিয়া পাতাসহ নানা রকমের সবজি। তিনি শুধু এই সবজি চাষ করেই সীমাবদ্ধ থাকেন নাই। তিনি তার অধিনস্ত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্লক সুপার ভাইজারদের নির্দেশনা দিয়েছেন যে যেখানেই থাকুন না কেন,পতিত জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করুন।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, আমরা যদি আমাদের বসত বাড়ির চারপাশে যে পতিত জমি পড়ে থাকে সেই জমি ফেলে না রেখে যখন যে শাক-সবজি যে মৌসুমে হয়, সেই শাক-সবজি রোপন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক করে প্রধান মন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, এখন এমনও জাত রয়েছে, সেই জাতের দুটি মরিচ গাছ লাগালে সারাবছর মরিচ কিনতে হবে। আবার এখন উচ্চ ফলনশীল পেঁপেঁ জাত রয়েছে বাড়ির আঙ্গিনায় ৪/৫ টা গাছ লাগালে সারা বছর পেঁপেঁ খাওয়া যাবে এবং কিছু বিক্রিও করা যাবে। এই কাজ গুলো আমাদের মা বোনেরাই করতে পারবেন। এতে করে আমরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করতে পারবো। 

একই সাথে সবাই যার যার বাড়ির ছাদে, আঙিনায়, বাড়ির আশে পাশে, পরিত্যাক্ত জায়গা ফেলে না রেখে এই কাজে লাগানোর জন্য উৎসাহিত করা। সেই সাথে এই কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমি ফেলে রাখা যাবে না বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনায় আবাদী জমি অপ্রতুল পাশাপাশি নগরায়ন, অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ও আবাসন খাত হতে উদ্ভূত চাহিদা পূরণ করতে যেয়ে প্রতি বছর কৃষিজমি সংকুচিত হচ্ছে। স্বর্নিভর অর্থনীতির অনন্য অনুসঙ্গ স্বর্নিভর কৃষি।