বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী দিয়ে জোরপূর্বক দখলকৃত জায়গা ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এক প্রবাসী। জায়গার মালিক ভুক্তভোগী প্রবাসী আব্দুর রহমানের পরিবার অবিলম্বে প্রশাসনের কাছে তার জায়গা ফেরৎ পেতে আবেদন জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার বাহারচড়া ইউনিয়নের বাশখালা গ্রামের মৃত রফিক আহমদের পুত্র প্রবাসী প্রবাসী আব্দুর রহমান কালীপুর ইউপির গুনাগরী এলাকার মৃত হাফেজ আহমদ চৌধুরীর পুত্রদের কাছ থেকে ২০১০ সালে ৩৪৯০,১৯৭৬ ও ১৩৪৭ নং খরিদা দলিল মূলে বিএস জরিপের বিএস খতিয়ান নং ১৫৭৯ ও ১৬৬৩ খতিয়ানের বিএস ৪৮৩৫ নং দাগে সর্বমোট সাড়ে ৬ গন্ডা জমি খরিদা মালিক হন।
সেই মতে বিএস ৪৮৩৫ নং দাগে আপোষ চিহ্নিত মতে দখল স্থিত থেকে উক্ত প্রবাসী আব্দুর রহমানের নামে বিএস নামজারি খতিয়ান নং ২২৮৬ ও ২১৮৩ সহ দুইটি নামজারি খতিয়ানও সৃজিত আছে। উক্ত বিএস ৪৮৩৫ নং দাগের কিছু অংশ জায়গাতে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে প্রাপ্ত ভাড়ার অর্থ দিয়ে পরিবারের খরচ বহন করে থাকেন। কিন্তু এরই মধ্যে এলাকার মৃত ফরিদ আহমদ চৌধুরীর পুত্র জমিল হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে জায়গাটি জবরদখল রেখেছে প্রতিপক্ষরা।
এনিয়ে প্রবাসী আবদুর রহমানের পক্ষে মামলা হলে আদালত প্রবাসী আব্দুর রহমানের পক্ষে ডিগ্রি প্রদান করেন।
এছাড়াও দুপক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয় ভুক্তভোগী পরিবারের৷ কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জামানত নিয়েছিল কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম শাহাদাত আলম। এতে বিচারও করেননি, এমনকি জামানতের টাকাও ফেরত দেননি চেয়ারম্যান শাহাদাত আলম আলম এমন অভিযোগও করেছে ভুক্তভোগীরা। মামলার ডিগ্রি ও বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও সৈয়দ মিয়া নামে এক প্রভাবশালী বর্তমানে ওই দোকান গৃহ জমিল হোসেন চৌধুরীর কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে বলে দোকান গৃহ জবরদখল করে রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী আব্দুর রহমানের পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত জমিল হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের জায়গায় ও দোকান জোরপূর্বক দখল করে ফেলেছে, জায়গাটি উদ্ধার করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ওই ভুক্তভোগী প্রবাসীর পরিবার।