ঢাকা, শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাঁশখালীতে সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে মসজিদ দখলের অভিযোগ

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৭ অগাস্ট ২০২৪ ০৭:১০:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন
বাঁশখালীতে দেয়াল ভেঙে মসজিদের দখল নেয়ার অভিযোগ।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাবেক পৌর মেয়র শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইমাম মুয়াজ্জিন বিতাড়িত করে দেয়াল ভেঙে মসজিদ দখল করার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে বাঁশখালী থানা এবং সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মসজিদটির সাথে হিফজখানা ও এতিমখানার জন্য সংরক্ষিত দেয়ালটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিদায় করা হয়েছে খতীব মাওলানা হাসানুর রশিদ আল কাদেরী। ইমাম হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হক ও মুয়াজ্জিন হাফেজ নুরুল কবিরকেও। শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ারবাজার হাবিব উল্লাহ ফানা জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। মসজিদের খতীব মাওলানা হাসানুর রশিদ আল কাদেরী জানান, সাবেক মেয়র শেখ ফখরুদ্দিনের ভাই রাজু এবং বাচ্চুসহ বেশ কয়েকজন লোক আমাকে জুমার নামাজ পড়াতে আসতে নিষেধ করেন এবং হুমকি দেন। তিনি জানান, আমি ৩ বছর ধরে মসজিদের খতীব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার ৪০ হাজার টাকা সম্মানি বকেয়া আছে। তাছাড়া মসজিদের ইমাম হাফেজ জিয়াউল হকেরও লক্ষাধিক টাকা বেতন বকেয়া রয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক মেয়র শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। কাউকে মসজিদ দখল করতে ইমাম মুয়াজ্জিন বিতাড়িত করতে তিনি নির্দেশও দেননি। বিগত ১০ বছর এমপি মেয়রের ক্ষমতা ব্যবহার করে মঈনুদ্দিন চৌধুরী এই মসজিদ এবং মার্কেট দখল করে রাখার পাশাপাশি মসজিদের মাঝখানে দেয়াল দিয়ে দুইভাগ করে রেখেছিল।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মঈনুদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘ দিন ধরে এমপি ও মেয়েরের যোগসাজশে মসজিদ ও মার্কেট দখল করে রেখেছিলেন। এখন দেশের ক্ষমতার পটপরিবর্তন পর মুসল্লীরাই মসজিদটির মাঝখানের দেয়াল ভেঙে একাকার করেছে বলে খবর পেয়েছি। এতে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। 

মসজিদটির মোতাওয়াল্লী মঈনুদ্দিন চৌধুরী জানান, মসজিদের পাশে এতিমখানা ও মাদরাসার জন্য ভবনের পুর্ব পাশে জায়গা বরাদ্দ ছিল। শেখ ফখরুদ্দিনের লোকজন সেই দেয়াল ভেঙে মসজিদের সাথে মিলিয়ে ফেলেন। ইমাম, খতীব ও মুয়াজ্জিনকে জোরপুর্বক বিদায় করে দেন।

বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। দীর্ঘ দিন ধরে মসজিদ নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। উভয় পক্ষে মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে।