চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকতার ফারুকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আশ্রয় প্রশ্রয় ও পুর্নবাসনের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে নব্য বিএনপিদের প্রাদুর্ভাবের কারণে ওই ইউনিয়নে পুরানো ও ত্যাগী নেতারা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এনিয়ে দলের বিভিন্ন ফোরামে ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগসহ আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা আকতার ফারুক সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি তাদের নিয়ে বিএনপির ব্যানারে সভা সমাবেশ করছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন মামলা আসামি ও ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কালু মিস্ত্রি, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম, ডাক্তার রাসেল ও এক সময় বিএনপি করলেও বিগত সময় বঙ্গবন্ধুর মাজার জেয়ারত ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাওয়া মেম্বার নুরুল হকসহ আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী রয়েছেন। এনিয়ে খানখানাবাদ ইউনিয়নে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি কর্মী জানান, আকতার ফারুক বিএনপির সিনিয়র নেতা। কিন্তু তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে ও নিজের গ্রুপ ভারি করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যবহার করছেন। প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিয়ে সভা সমাবেশ করছেন। যা সত্যিই অগ্রহণযোগ্য। অথচ এই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই বিগত ১৬ বছর খানখানাবাদে বিএনপিকে স্বাভাবিকভাবে দলের কার্যক্রম করতে দেয়নি।
খানখানাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক গিয়াস কামাল জানান, মেম্বার নুরুল হক এক সময় আওয়ামী লীগ করত। সরকার পরিবর্তনের পর সবার সম্মতিতে তাকে দলে নেয়া হয়েছে। কালু মিস্ত্রিসহ অন্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করত। তাদের নিয়ে কেন সভা সমাবেশ করা হচ্ছে আমি বলতে পারব না।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা আকতার ফারুক বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতা কালু মিস্ত্রিকে মিথ্যা মামলা দেয়ার বিষয়ে সে আমার কাছে আশ্রয় চাইলে আমি তাকে আশ্রয় দিচ্ছি, নিরাপত্তা দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ করলেই কাউকে মিথ্যা মামলা দিতে হবে এটা ঠিক নয়।