ঢাকা, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

বিশ বিঘা তরমুজ খেতে চার বন্ধুর স্বপ্ন

মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, ঠাকুরগাঁও: | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৬ এপ্রিল ২০২২ ০৪:০৬:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়
জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে সীমান্তের পাশে চারবন্ধু মিলে ২০ বিঘা তরমুজ খেত করেছে। খেতজুড়ে গাছের লতায় লতায় তরমুজ ধরেছে। তরমুজের আকার দিন দিন বড় হচ্ছে। তাদের অক্লান্ত শ্রমের তরমুজ ভাল মূল্যে ক্রেতাকে দিয়ে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তারা।

বলছিলাম ঠাকুরগাঁঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ী গ্রামের  রশিদ আলী, সাদ্দাম হোসেন, দিলিপ পাল ও আজিজুল হক নামে চার বন্ধুর কথা। তারা সীমান্তে রনবাগ টিএস্টেট লিমিটেডে চা শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি এ তরমুজ খেত চাষাবাদ করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চা বাগানের পাশে বাংলাদেশ-ভারতের বেউরঝাড়ী সীমান্তের মাঝখানে নাগর নদীর ধারে পড়ে থাকা বালুর চড়ে চাষাবাদ করা হয়েছে তরমুজ। তরমুজে তরমুজে ভরে গেছে ক্ষেত। বড় আকারের তরমুজের ওজন প্রায় ৫-১৫ কেজি। আর ১০ দিন পরে তরমুজের আকার আরও বড় হবে। সেই সাথে বাজারে বিক্রি করা যাবে এই তরমুজ। তাই সেচ দেওয়াসহ খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত চার বন্ধু।

আজিজুল হক জানান, গেল তিন বছর ধরে আমি একাই তরমুজ চাষ করে আসছিলাম। তবে ৫ বিঘার বেশি জমি একাই চাষাবাদ করতে পারিনি। চলতি মৌসুমে চার বন্ধু মিলে এক হয়ে নাগর নদীর ধারে ১২ বিঘা এবং ৮ বিঘা আবাদি জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ৫ গাড়ী তরমুজ হবে। যার বাজার মূল্য ১৫ লাখ টাকার বেশি

অপর বন্ধু দিলিপ পাল জানান, কিছুদিন আগে শিলাবৃষ্টিতে ১০ ভাগ তরমুজের গায়ে আঘাত লেগেছে। এসব তরমুজ নষ্ট হওয়ার আশংকাই বেশি। তবে আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে খেত ক্ষতিগ্রস্ত না হলেই হলো। বাজারে তরমুজের চাহিদা ও দাম দুটোই রয়েছে। আশা করছি কাঙ্খিত ফলন এবং লাভ হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার আমজানখোর, দুওসুও ও বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নে ৪৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। গেল বছরের তুলনায় ১২ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদ বেড়েছে। তবে শিলাবৃষ্টিতে ১৮ হেক্টর জমির তরমুজ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।