ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই ২০২২ ১০:২৮:০০ অপরাহ্ন | আন্তর্জাতিক

 

ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের প্রার্থী আদিবাসী সাঁওতাল নারী দ্রৌপদী মুর্মু। বৃহস্পতিবার তিন দফায় ভোট গণনা শেষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ৫০ শতাংশের বেশি ভোটমূল্য পেয়ে ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

 

দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধীদলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যশবন্ত সিনহা পরাজয় স্বীকার করেছেন। আগামী ২৫ জুলাই ভারতের ১৫তম নতুন রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হবে ২৪ জুলাই।

 

 

তিন দফা গণনার পর দ্রৌপদী মুর্মু মোট ভোটমূল্যের ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পেয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, দ্রৌপদীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৬ ভোটমূল্য। গণনায় দ্রৌপদী ভোটমূল্য পেয়েছেন ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৭।

 

এদিকে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি প্রধান জে পি নাড্ডাসহ মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্যরা দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিনন্দন জানাতে তার বাসভবনে যাচ্ছেন।

 

এক টুইটে পরাজয় স্বীকার করে বিরোধীদলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যশবন্ত সিনহা বলেছেন, আমি ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়  পাওয়ায় দ্রৌপদী মুর্মুকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। আমি আশা করি— প্রকৃতপক্ষে, প্রতিটি ভারতীয় আশা করে যে, ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ভয়ডরহীন অথবা পক্ষপাত ছাড়াই সংবিধানের রক্ষক হিসেবে কাজ করবেন

 

 

এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দিল্লিতে পার্লামেন্ট ভবনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে প্রাথমিক আলোচনা শেষে দুপুর দেড়টায় শুরু হয় মূল গণনা। প্রথম দফার গণনায় মুর্মু ৩৯ শতাংশের ভোটমূল্য স্পষ্ট হয়ে যায়।

 

প্রথম কোনও আদিবাসী নারী রাইসিনা হিলের মসনদে যাওয়ায় দেশজুড়ে এই সম্প্রদায়ের সদস্যরা উল্লাস-উদযাপন শুরু করেছেন। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতর থেকে রোড শোর মাধ্যমে মুর্মুর বিজয় উদযাপন শুরু হয়েছে। এছাড়াও বিজেপির অন্যান্য সব রাজ্য শাখাও বিজয় মিছিলের পরিকল্পনা করেছে।

 

দ্রৌপদী মুর্মু পেশায় শিক্ষক ছিলেন। ৬৪ বছর বয়সী ওড়িশার এই আদিবাসী নারী গত কয়েক দশক ধরে বিজেপির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ঝাড়খণ্ড প্রদেশের প্রাদেশিক গভর্নরও ছিলেন তিনি।