ঢাকা, শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ই পৌষ ১৪৩১

ভোটের দিন নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন সিলেট ও মৌলভীবাজারের

রিমা বেগম, সিলেট : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৮ জানুয়ারী ২০২৪ ০৪:৫৬:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

ভোটের দিন সিলেট ও মৌলভীবাজারের ৪ টি আসনের ৮ প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা।                                                              

নানান অভিযোগ উত্থাপন করে ওই ৮ প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।
সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তার সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করে ভোটচুরি করছেন অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ৪ প্রার্থী। তারা হলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান ও তৃণমূল বিএনপির আব্দুর রব মল্লিক।

ইয়াহইয়া চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার কর্মীরা আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে, জাল ভোট দিচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ কিংবা প্রিজাইডিং অফিসার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বরং লিখিত অভিযোগ দিতে বলছেন। এমনকি একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহন সাময়িক বন্ধ রাখার পর নৌকার প্রার্থী এসে ভোটগ্রহণ শুরু করে দেন। এ অবস্থায় নির্বাচনে থাকা সম্ভব না, তাই আমি প্রত্যাহার করছি।'

মোকাব্বির খান বলেন, 'যেভাবে জোর করে আমার ও অন্য দুইজন প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেয়া হচ্ছে, এর পরে নির্বাচনে থাকা যায় না।

মুহিবুর রহমান বলেন, 'জাতীয় পার্টির এমপিকে রীতিমতো জিম্মি করে নৌকার প্রার্থী টেবিল কাস্টিং করেছেন।

সিলেট-৩ আসনের অন্তর্গত বালাগঞ্জ উপজেলার দুটি ভোটকেন্দ্রের ভোট প্রত্যাখ্যান করেছেন আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল (ট্রাক)। কেন্দ্রগুলো হল- বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বোয়ালজুড় বাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। ডা. দুলাল উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় বাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। আর সোনাপুর বিদ্যালয় কেন্দ্রে এজেন্টদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে জাল ভোট প্রদানের অভিযোগ পেয়েছি। এসব ঘটনায় ডা. দুলাল নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের অভিযুক্ত করেছেন।

মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান ও তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী এম এম শাহীন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে লাইভে এসে তারা এ ঘোষণা দেন।

ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে সলমান বলেন, কুলাউড়ার প্রতিটি কেন্দ্রে অনিয়ম এবং জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোট চলাকালীন এসব অনিয়মের কথা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের অবহিত করার পরও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নে। ভোট চলাকালীন এজেন্টদের তালা দিয়ে কেদ্র দখল করে ভোট কারচুপি করা হয়। বিকেলে ম্যাজিস্ট্রেটরা কেন্দ্র থেকে চলে যাওয়ার পর দখল করে জাল ভোট দেওয়া হয়। এ জন্য আমি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি।

এম এম শাহীন বলেন, ভোটের দিন নৌকা মার্কার সমর্থকেরা জাল ভোট দেন। একই সঙ্গে আমার এজেন্ট বের করে দিয়েছেন কেন্দ্র থেকে। নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বললেও ভোটের দিনদুপুর থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পরিবেশ আর থাকেনি। এ জন্য আমি ভোট বর্জন করলাম।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল হোসেন (সোনালী আঁশ) রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোটগ্রহণের অনিয়মের অভিযোগ তুলে তিনি নির্বাচন বয়কটের এ ঘোষণা দেন।