বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মিরসরাইয়ের কৃষকরা। কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বীজতলার চারা উত্তোলন, জমি তৈরি ও রোপণের কাজ করছেন তারা। কেউ তৈরী করছে পানি ব্যবস্থাপনার কাজ। তবে মিরসরাইয়ে নদী ও অসংখ্য খাল থাকায় যথেষ্ট পানি ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন সময় খাল খননের কারনে খালে পরিপূর্ণ পানি থাকায় এতে কৃষকের সেচের সুবিধা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মৌসুমের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৬ শ হেক্টর জমিতে আবাদ। বছরের অন্য সময় পানি ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকার কারণে এ বছর আবাদ বেড়েছে । অনেকে এ বছর আমনের ভালো ফলন হওয়াতে এবং ধানের দাম পাওয়ায় বরো চাষে মনযোগ দিচ্ছেন। মহামায়া ও মুহুরী সেচ প্রকল্প থাকায় পানির সুবিধা পাচ্ছে কৃষকরা।
উপজেলার জোরারগন্জ ইউনিয়ন এলাকার দেওয়ানপুরের কৃষক দীলিপ চন্দ্র নাথ বলেন পানি সুবিধা থাকার কারনে চাষ করছি,কিন্তু তেলের দাম বেশী হাওয়ায় খরচ বেশী পড়বে। গত মৌসুমে কানি (১২০ শতাংশ) প্রতি পানি খরচ ছিল ৩০০০ এবার ৩৫০০ টাকার পানি খরচ দিচ্ছি। ফসলের দাম আরো বেশী হলে লাভবান হবো।
কৃষকদের অভিযোগ, বীজ, সার এবং কীটনাশকের মূল্য বেশি হওয়ায় শুরুতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর ধানক্ষেতে পাম্পের সাহায্যে সেচ দেয়ার ডিজেলের মূল্য বেশি থাকায় কৃষকের তেমন লাভ থাকে না।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমাদের লক্ষমাত্রা পূরন হবে। বিভিন্ন স্থানে প্রতিবারের মত কিছুকিছু সমস্যা সৃষ্টি হয় তা আমরা সমাধানে কৃষকদের মাঝে সেটা সমাধানের চেষ্টা করি। আমাদের মাঠপর্যায়ে কাজের কারনে ও কৃষকরা বাড়তি পরিচর্যা করায় ভালো ফলন হবে। আশা করি কৃষকরা তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য পাবে। আগামীতে আমাদের উৎপাদনের লক্ষমাত্রা বাড়বে।