ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মুরাদনগরে নদী পারাপারে নৌকার সাঁকো

মমিনুল ইসলাম মোল্লা,মুরাদনগর : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৫ এপ্রিল ২০২২ ০৩:৪৭:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়
মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের পিপিড়িয়াকান্দা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ রবিরবাজার পর্যন্ত ওই নৌকার সাঁকোটি বানানো হয়েছে। ওই স্থানটি মুরাদনগর, বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর এই তিনটি উপজেলার মোহনা হওয়ায় কখনো নৌকার সাঁকো, কখনো খেয়ার নৌকায় এই অঞ্চলের লোকজন নদী পারাপার করে থাকেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর দুই পাড়ে উল্লেখযোগ্য দুটি প্রাচীন বাজার। এক পাড়ে মুরাদনগর উপজেলার পিপড়িয়াকান্দা বাজার, আর অন্য পাড়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ রবির বাজার খেয়া ঘাট। দুই পাড়ে থাকে সারি সারি নৌকা। নৌকায় প্রতিবার পার হতে যাত্রীদের ৫ টাকা করে দিতে হয়। কচুরিপানা ভর্তি নদীতে নৌকা আটকে যায়। মাঝি দুই হাতে কচুরিপানা সরান। এইভাবে ৫ মিনিটের নদী পার হতে ১০-১৫ মিনিটও লেগে যায়।

মুরাদনগর উপজেলার পিপড়িয়াকান্দা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরজু মিয়া বলেন, এখানে ব্রিজ না থাকায় দুই পাড়ের তিন উপজেলার  মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দ্রুত যোগাযোগের জন্য ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই। 

বঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ রবির বাজারের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ফরদাবাদ রবির বাজার থেকে নবীনগরের ডুবাইচাইল, বাজে বিশারা, ভিটি বিশারা এবং মুরাদনগরের পিপড়িয়াকান্দা, চন্দনাইলসহ আশপাশের গ্রামের এখান দিয়ে যাতায়াত করে। এ অঞ্চলের লোকজনের যোগাযোগের জন্য এখানে একটি ব্রিজ প্রয়োজন। 

নবীনগর উপজেলার ডুবাইচাইল গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, এখানে তিতাস নদীর ওপর ব্রিজ হলে আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।

নৌকার মাঝি পিপড়িয়াকান্দা গ্রামের মোখলেছ মিয়া বলেন, আমরা অর্ধশতাধিক মাঝি এখানে নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করি। মাঝে মাঝে নদীতে কচুরিপানা জমাট বেঁধে যায়। তখন নৌকা চালানো যায় না। সে সময় আমরা নৌকা সারিতে রেখে সাঁকোর মতো করে ফেলি। তার ওপর দিয়ে মানুষ হেঁটে পার হয়। 

মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এখানে ব্রিজের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি যাচাই করে দেখব। তারপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।