ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

যশোরে ৩৫ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত

যশোর প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২২ ০৫:৪০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

যশোর বিজ্ঞান  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবিজিনোম সেন্টারে  এবার ৩৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁদের মধ্যে ঠান্ডাগলা ব্যাথামাংশ পেশীতে ব্যাথাহালকা জ্বর ছাড়া অন্য কোনো গুরুতর উপসর্গ নেই।

আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি) যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক করোনার নতুন  ধরণ শনাক্তের বিষয়টি প্রকাশ করে। গবেষক দলটি গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিতারিখ হতে ১৯ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিপর্যন্ত সর্বোমোট ৪১ জনের (২৬ জন পুরুষ  ১৫ জন নারীনমুনার স্যাঙ্গার সিকুয়েন্সিং-এর মাধ্যমে ৩৫ জনের প্রাথমিকভাবে ওমিক্রন শনাক্ত করে। বাকিগুলো ডেল্টা ধরণ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি জিনোম সেন্টারে তিন জনের নমুনার পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়।  নিয়ে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে মোট ৩৮ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত করা হলো।  

যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার থেকে জানানো হয়জিনোম সেন্টারে ৩৮ জনের নমুনার মধ্যে পূর্বেই ৩টি নমুনার পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য (হোল জিনোম সিকোয়েন্সউন্মোচন করা হয়েছিল। বাকি ৩৫ জনের স্পাইক প্রোটিনের স্যাঙ্গার সিকুয়েন্সিং-এর মাধ্যমে ১২ থেকে ১৩টি মিউটেশনের উপর ভিত্তি করে ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের বয়স ২০ থেকে ৭১ বছরের মধ্যে। যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান  জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনার নতুন  ধরণ শনাক্ত করা হয়। তিনি বলেনযদিও শনাক্তের বিচারে আক্রান্তদের এখনো গুরুত্বর উপসর্গ নেই। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে উদ্বেগের ধরণ বলে আখ্যায়িত করেছে।

করোনার নতুন  ধরণটি শনাক্তের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য  জিনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেনওমিক্রন খুবই দ্রুত সংক্রমনশীল।  কারণে যশোর অঞ্চলে এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ৩০ শতাংশের অধিক নমুনা পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছে।  জন্য সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের পাশাপাশি টিকা গ্রহণমাস্ক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেনকরোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্তের কাজটি জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে। আশপাশের জেলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে নমুনা পাঠালে তাদেরও করোনার ধরণ শনাক্ত করা হবে। উল্লেখ্যইতিপূর্বে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরণটির স্থানীয় সংক্রনের বিষয়টিও যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে শনাক্ত করা হয়।

যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান  জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদসহ গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান হাসান মোআল-ইমরানঅণুজীববিজ্ঞন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শোভন লাল সরকার এস এম রুবাইয়াতুল আলমপ্রভাষক শামিনুর রহমানজিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাসআলী আহসান সেতুতৌকির আহমেদআব্দুল্লাহ আল তারিকআনজীর রুমিনাজনীন সুলতানা সুমনা,  প্রমুখ।