১৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার সময় ২ মিনিট নিরবতার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যষ্টিক্রিয়া। এরপর বেঁজে উঠে জাতীয় সংগীত। ১২টা ১৫ মিনিটে মরদেহ নিয়ে যাত্রা শুরু করবে উইন্ডসর ক্যাসেলের দিকে। তবে যাত্রা শুরু করে এটি দুপুর ১টায় পৌঁছাবে হাইড পার্ক কর্নারে। এসময় রাজা তৃতীয় চার্লসসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা হাঁটবেন কফিনের পেছনে।
কফিনটি ওয়েলিংটন আর্চ হয়ে, পার্লামেন্ট স্ট্রিট ধরে হোয়াইট হল, হর্স গার্ডেন, দ্যা মল, কুইনস গার্ডেন হয়ে আপসলে ওয়েতে যাবে। এই যাত্রায় বিভিন্ন বাহিনী তোপধ্বনির মাধ্যমে রানিকে সম্মান জানাবে। ওয়েলিংটন থেকে মরদেহ গাড়িতে তোলা হবে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করবে উইন্ডসর ক্যাসেটের দিকে।
এর আগে সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে মরদেহ ওয়েস্টমিনিস্টার হল থেকে বের হয়ে যাত্রা শুরু করে ওয়েস্টমিনিস্টার এ্যাবেতে পৌঁছায়। এই যাত্রাটির সম্মুখভাগে ছিল রয়েল নেভী। পেছনে ছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস, প্রিন্সেস এ্যান, প্রিন্স এন্ড্রু ও প্রিন্স এডওযার্ড। সঙ্গে ছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারী। ১০টা ৫২ মিনিটে রানির মরদেহবাহী কফিন পৌঁছায় ওয়েস্ট মিনিস্টার এ্যাবেতে। এসময় ওয়েস্ট মিনিস্টার এ্যাবেতে আর্চবিশপ অব ক্যান্টাবারী জাস্টিন ওয়েলবাই যোগ দেন। কফিন রাখা হয় উঁচু বেদীতে।
ঠিক ১১টায় শুরু হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মূল পর্ব। এই পর্ব পরিচালনা করেন, ওয়েস্ট মিনিস্টারের ডীন।এসময় প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও কমনওয়েলথ সেক্রেটারি প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বাইবেল থেকে পাঠ করেন।
এরপর আর্চবিশপ অব ক্যান্টাবারী জাস্টিন ওয়েলবাই ধর্মের উপদেশ বানী পড়ে শুনাবেন। ঠিক ১১টা ৫৫ মিনিটে শেষ হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর্ব।
এরপর ৫ মিনিট মিউজিকের মধ্যদিয়ে সামরিক বাহিনী ও যুদ্ধের সময়ে রানির অংশগ্রহণ ও অবদান স্মরণ করা হয়। ঠিক ১২টায় ২ মিনিট নিরবতা পালন হয় সারাদেশে। এরপরই বেঁজে উঠে জাতীয় সংগীত।