তৃতীয় ধাপে নাটোরের লালপুরের ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহীরা জয় লাভ করেছে। রোববার (২৮ নভেম্বর ২০২১) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৫ জন বিদ্রোহী, নৌকা প্রতীকে ৩ জন এবং বিএনপির ২ জন প্রার্থী বেসরকারিভাবে জয়ী হন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাসিব বিন শাহাব জানান, লালপুরে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক পলাশ (নৌকা) ৬ হাজার ৮৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. মনোয়ার হোসেন নান্টু (ঘোড়া-বিদ্রোহী) পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৭৪ ভোট।
ঈশ্বরদীতে মো. আব্দুল আজিজ রঞ্জু (ঘোড়া-বিএনপি) ৬ হাজার ৯৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. আমিনুল ইসলাম জয় (নৌকা) পেয়েছেন ৬ হাজার ১৭০ ভোট।
চংধুপইলে মো. রেজাউল করিম (নৌকা) ১৩ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. আব্দুলাহ আল মামুন অরেঞ্জ (ঘোড়া-বিদ্রোহী) পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৪০ ভোট;
আড়বাবে মো. মোকলেসুর রহমান (ঘোড়া-বিদ্রোহী) ৬ হাজার ৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. ইমদাদুল হক মিলন (নৌকা) পেয়েছেন ৩ হাজার ৯১৪ ভোট;
বিলমাড়ীয়াতে মো. ছিদ্দিক আলী মিষ্টু (ঘোড়া-বিএনপি) ৪ হাজার ৮৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. মিজানুর রহমান মিন্টু (আনারস-বিদ্রোহী) পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৫১ ভোট;
দুয়ারিয়াতে মো. নুরুল ইসলাম লাভলু (নৌকা) ৫ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. আতাউর রহমান জার্জিস (ঘোড়া-বিদ্রোহী) পেয়েছেন ৪ হাজার ১৬৮ ভোট;
ওয়ালিয়াতে মো. নূরে আলম সিদ্দিকী আলম (ঘোড়া-বিদ্রোহী) ৯ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. আনিছুর রহমান (নৌকা) পেয়েছে ৮ হাজার ৩৩৯ ভোট;
দুড়দুড়িয়াতে মো. তোফাজ্জল হোসেন তোফা (আনারস-বিদ্রোহী) ৬ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. আবুল কালাম আজাদ (ঘোড়া-বিএনপি) পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৯৩ ভোট;
অর্জুনপুর-বরমহাটীতে (এবি) মো. গোলাম মোস্তফা আসলাম (আনারস-বিদ্রোহী) ৫ হাজার ৮২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. আব্দুস সাত্তার (নৌকা) পেয়েছেন ৩ হাজার ৯২ ভোট;
কদিমচিলানে মো. আনছারুল ইসলাম (ঘোড়া-বিদ্রোহী) ৮ হাজার ২২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. সেলিম রেজা (নৌকা) পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৯ ভোট।
উপজেলার ১০টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৪১ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার ২ লাখ ৩ হাজার ৫৯৫ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৪০৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩ হাজার ১৯২ জন।