শান্তিগঞ্জে ইজারাদার কর্তৃক জলমহালের মৎস্য আহরণ করলেও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্গত উপ্তিরপাড় গ্রাম সংলগ্ন মরা মহাসিং নদী জলমহালে। বুধবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে উপ্তির পাড় গ্রামের ভোক্তভোগী জমসিদ মিয়া ও সাইফুল ইসলাম সহ গ্রামবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, মরা মহাসিং নদী জলমহালটি ১৪২৫-১৪৩০ বাংলা সনের জন্য ইজারা নেয় শত্রুমর্দন ব্রাহ্মণ্গাঁও মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি:। পরে সমিতির লোকজনের সাথে এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকজন জড়িত হয়ে ইজারা নেওয়ার পর সুন্দরভাবে জলমহালের মৎস্য আহরণ করছেন ইজারাদারগণ। এতে গ্রামের লোকজন কোন ধরণের বাঁধা বিপত্তি করেন নাই এমনকি জলমহালের আশ পাশেও যান নাই। কিন্তু জলমহালে বিগত ৫ বছর মৎস্য আহরণ করলেও কারও উপর কোন অভিযোগ না করে বিগত ১৩ ডিসেম্ভর ২০২২ ইং তারিখে শান্তিগঞ্জ থানায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ নুর বাদী হয়ে উপ্তিরপাড় গ্রামের সাইফুল ইসলাম সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে জলমহাল লুটপাট করে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা দায়ের করেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট বলে দাবী করেন সাইফুল ইসলাম সহ উপ্তিরপাড় গ্রামবাসী। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের ও দাবী জানান ভোক্তভোগীরা। এছাড়া তারা আরও জানান,গ্রামের পশ্চিম দিকে মরা মহাসিং নদীতে তাদের পূর্ব পুরুষ থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত ভোগ দখলে রয়েছেন, কারণ এই নদীতে গ্রামের পুরুষ মহিলা শিশু কিশোরেরা গোসল করা সহ পারিবারিক কাজে পানি সরবসাহ করে থাকেন এবং মামলায় ৭ নং আসামী তৌহিদ মিয়া ২ বছর যাবৎ ডুবাই থাকা সত্ত্বেও তাকে আসামী করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরেজমিন জলমহালে গিয়ে জলমহালে মৎস্য আহরণের ভাগীদার শাল্লা উপজেলার সুমন্ত দাশ, উপিÍরপাড় গ্রামের ফারুক আহমদ ও উমেদনগর গ্রামের নুরুল আমিনের সাথে আলাপকালে তারা জানান, যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাহারা জলমহালে কোন লুটপাট করেননি শুধু জলমহালের উপিÍরপাড় গ্রামের পশ্চিমের অংশে মৎস্য আহরণে বাঁধা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ইজারাদার জাবেদ নুর জানান, জলমহালে কোন লুটপাট হয়নি,অভিযুক্তরা গ্রামের পশ্চিমের অংশে মৎস্য আহরণ করতে বাঁধা দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন মামলা করতে গিয়ে কিছু মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।