শান্তিগঞ্জের জয়কলস ইউনিয়নের উজানীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজের মেয়াদ এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর শুধুমাত্র ফাইলিংয়ের কাজ করেই এখন পর্যন্ত কোন কাজই করেনি ঠিকাদার। সোমবার সকালে সরেজমিন উজানীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, বিগত ৭ মার্চ ২০২১ ইং সনে ৯৯ লাখ ৫ হাজার ৮ শত ৯২ টাকা চুক্তিমূল্যে উক্ত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ পায় ভৈরব কিশোরগঞ্জের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাহবুব আলম এন্টারপ্রাইজ। কাজ পাওয়ার পর পুরাতন বিদ্যালয় ভেঙে শুধু ফাইলিংয়ের কাজ করে বিদ্যালয়ের সামনে ২ টি বড় বড় গর্ত করে নির্মাণ কাজ বন্দ করে দেয় ঠিকাদার। ১১ ডিসেম্বর ২০২১ সালে কাজের মেয়াদ শেষ হলেও অদ্যবদি পর্যন্ত কোন কাজই করেনি ঠিকাদার। এদিকে পুরাতন বিদ্যালয় ভেঙে ফেলায় এবং নলকূপ ও মটরের সংযোগ খুলে ফেলায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষরা পড়েছেন চরম সংকটে। বিদ্যালয়ের সামনে বড় বড় ২ টি গর্ত থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রায় সময় গর্তে পরে দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিদ্যালয় ভবন না থাকায় পার্শ্ববর্তী উজানীগাঁও রশিদিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত ভবনের ২ টি রুমে ৩ শ্রেনীর ক্লাস নিতে গিয়ে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। উৎসাহ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে উজানীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমর চক্রবর্তী জানান,নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ভবন নির্মাণ না হওয়ায় আমরা চরম সংকটে রয়েছি। এছাড়া বিদ্যালয়ের সামনে দুটি গর্ত করে রাখায় শিক্ষার্থীরা দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণ করা না হলে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম দিনদিন চরম হুমকির মুখে পড়বে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাহবুব আলমের সাথে মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম খাঁন জানান,উক্ত বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, বারবার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করে কোন লাভ হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আল নুর তারেক বলেন, কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার উজ জামান জানান, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা করে শীঘ্রই বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করব।