শান্তিগঞ্জে মসজিদ কমিটির লোকজনের উপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্য অভিযোগ দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষ কর্তৃক হাওরের পল্লার কাড়া দখলে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের পাগলা পশ্চিম পাড়া ব্রা²নগাঁও মৌজার দলার হাওরের পল্লার কাড়া নামক স্থানে। মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন উক্ত হাওরে গিয়ে দেখা যায়, দলার হাওর ও পল্লার কাড়া নামক স্থানে প্রচুর পরিমানে পানি রয়েছে এবং অত্র এলাকার কৃষকের কৃষি কাজে কোন ধরনের পানির সমস্যা হচ্ছেনা। এ সময় অত্র এলাকার কৃষক ব্রা²নগাঁও জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব উদ্দিন বুদ্ধি ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আফিজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মুলুক,কাচাই মিয়া, সদস্য শাহজাহান মিয়া, শওকত আলী, জাবেদ নুর জানান, এ হাওরে আমাদের জমি বেশি রয়েছে বিগত ৪০ বছর যাবৎ আমরা এই হাওরের পানি রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে পল্লার কাড়া নামক স্থানটি ভরা বর্ষা মৌসুমে চিংড়ি মাছ আহরণের জন্য লিজ দেই এবং পল্লাটি ভেসে যাওয়ার সাথে সাথে আমরা বেঁধে রাখি এবং এই জায়গায় একজন পাহাড়াদার নিয়োগ করে রাখি, যাহাতে কেউ এই কাড়া কেটে দিয়ে পানি নামাতে না পারে। তারা আরও জানান, আমরা কমিটির পক্ষ থেকে প্রতি বছর সম্পূর্ণ বাঁধে মাটি কাটাই পাহাড়াদারের বেতন দেই আমাদের গ্রামের কৃষকের আমাদের জমিতে পানি রাখার স্বার্থে এবং হাওরে পানি রক্ষনাবেক্ষণের জন্য আমরা নিরলশভাবে কাজ করি। এই হাওরে আমাদের জমিই বেশি। তারা আরও জানান, চতুর্দিকে কৃষকগণ বোর জমি চাষ করার পরও এখন পর্যন্ত হাওরে প্রচুর পরিমানে পানি রয়েছে, কিন্তু আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জগলুল হায়দারকে নির্বাচনের সময় ভোট না দেওয়ায় কিছু কুচক্রী মহলকে সাথে নিয়ে হাওরে পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছে বলে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা কুৎসা রটাচ্ছেন দলার হাওরের পল্লার কাড়াটি নিজের লোকদের দিয়ে দখলে নেওয়ার জন্য। কৃষক সহিবুল ইসলাম জানান, আমাদের এই হাওরে প্রচুর পরিমান পানি রয়েছে অতিরিক্ত পানির কারণে কিছু বোর জমি এখনও পানির নিচে রয়েছে কৃষি কাজে আমাদের কোন সমস্যা নেই।
এ ব্যাপারে পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার জানান, নির্বাচনী রেশ বলতে কিছুই নেই দলার হাওরের পূর্ব পার্শের বানী বিল নামক জায়গা শুকানোর কারণে কৃষকের বোর জমি চাষ করতে পানির স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রা²নগাঁও জামে মসজিদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আফিজুল ইসলাম বলেন, দলার হাওরের পূর্ব পাশে বানী বিল নামক স্থানে একটি বাঁধ রয়েছে যা বেঁধে রাখার দায়িত্ব শত্রæমর্দন গ্রামবাসীর। বানী বিলের সাথে আমাদের পল্লার কাড়ার কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের পল্লার কাড়া অক্ষত রয়েছে, হাওরে পানি ও পর্যাপ্ত পরিমানে রয়েছে।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আনোয়ার উজ জামান জানান, যদি অভিযোগকারী মসজিদ কমিটির লোকজনের উপর মিথ্যা হয়রানীমূলক কোন কিছু করে থাকে তাহলে আমি খতিয়ে দেখব।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ফারুক আহমদ বলেন, দলার হাওরের পশ্চিমের অংশে যে পল্লার কাড়া রয়েছে সেটা বিগত ৫০ বছর যাবৎ ব্রা²নগাঁও জামে মসজিদ কমিটির লোকজন রক্ষনাবেক্ষন করে আসছেন তা আমার জানা আছে, এবং এই জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমান পানি ও রয়েছে। বর্তমান বোর মৌসুমে উপজেলার প্রত্যেকটি হাওরে পানি শুন্যতা দেখা দিয়ে শুধু এই হাওরে নয়। একটি স্বার্থানেশী মহল নিজের পায়দা হাছিলের জন্য মসজিদ কমিটির লোকদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।