পোষ্টার মারাকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্যদের সমর্থকদের মধ্যে এক সংঘর্ষে দুই সদস্য প্রার্থীসহ ১১ জন মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর। এর আগে সকালে একই ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে নৌকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও স্থানীয় মেম্বার প্রার্থী বাবলু রহমানের ভাই আরিফ ইকবাল (৩৮) কে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো হামলার আশংকা করছে এলাকাবাসী। ঘটনান্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
আহতরা হলো নৌকা সমর্থক বর্তমান মেম্বার ও মেম্বার প্রার্থী হবিবার (৫০), আক্কাচ (৩৫), আজগার (৩৫), মাসুদ (২৫), আইনাল (৪০) ও মন্টু (৫০)। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক মেম্বার প্রার্থী ইকতিয়ার (২৫), আলাউদ্দিন (৫৫), আরশাদ (৬০), কুতুব (৩৫) ও সাহাবুদ্দিন (৪০)। এদের মধ্যে মন্টু ও আরশাদের অবস্থা আশংকাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে রুদ্রপুর বাজারে পোস্টার মারা নিয়ে বর্তমান মেম্বার হবিবর রহমানের সাথে তার আপন চাচাতো ভাই মেম্বর প্রার্থী ইকতিয়ারের সাথে তর্ক হয়। এ সময় আরেক পক্ষ এসে তর্কে যোগ দিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। দেশিয় অস্ত্র রামদা, লাঠি লোহার রড নিয়ে একে অপরের কুপিয়ে ও মারপিট করে আহত করে। এদের মধ্যে হবিবর মেম্বার নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু ও চাচাতো ভাই ইকতিয়ার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেনের সমর্থক।
এদিকে সকালের দিকে কায়বা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে নৌকার সমর্থক ভবানিপুরের মাসুম ও তার বাহিনীর লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ির দিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও স্থানীয় মেম্বার প্রার্থী বাবলু রহমানের ভাই আরিফ ইকবালকে। আহতদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মন্টুকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকার বর্তমান চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের আগের দিনে এই মারামারি পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য।
শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান, ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।