প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে শেখ রাসেল দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তকে প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে অভিযোগ তুলে এর নিন্দা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
শহীদ শেখ রাসেলের ৬১তম জন্মবার্ষিকীর উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ তুলেন তিনি।
এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬১তম জন্মদিন শুক্রবার। ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে আওয়ামী লীগ সরকার তার জন্মদিনকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। কিন্তু বর্তমান ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিবসটি যাতে পালন করা না হয়, সেজন্য তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।
মানবতার শত্রু ঘৃণ্য সেই ঘাতকদের নির্মম বুলেটের হাত থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রক্ষা পাননি শেখ রাসেলও। ১০ বছর বয়সী শিশু শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ঘাতকরা যদি সেদিন শেখ রাসেলকে হত্যা না করতো। তাহলে তিনি আজ বেঁচে থাকতেন আমাদের মাঝে। আমরা হয়তো একজন মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা পেতাম, যাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ব করতে পারত।
তিনি আরো বলেন, শেখ রাসেল আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার পবিত্র স্মৃতি আছে। বাংলাদেশে শিশুদের মাঝে আজও আমরা রাসেলকে খুঁজে পাই। আমাদের প্রত্যাশা তাদের রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। এমন এক উজ্জ্বল শিশুর সত্তা বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের শিশুরা বেড়ে উঠুক। রাসেলের খুনিদের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ঘৃণা বর্ষণ করুক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগামী ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া এবং মিলাদ কর্মসূচি পালনের জন্য দেশব্যাপী দল ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
বায়ান্ন/একে