বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের সাবেক ধানের শীষের জনপ্রিয় প্রার্থী মিয়া নূর উদ্দিন অপু সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকার সন্ত্রাসদমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে খালাস পেয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল এই রায় প্রদান করে।
ট্রাইব্যুনাল মামলাটিকে “অসার ও অসত্য” বলে উল্লেখ করে। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে র্যাব-৩ এর তৎকালীন ডিএডি ইব্রাহিম হোসেনের দায়ের করা মামলাটিতে চারজনকে আসামি করা হয়েছিল, যার মধ্যে মিয়া নূর উদ্দিন অপুও ছিলেন। ২০২১ সালের ১৩ জুন মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণের অভাবে আদালত তাকে খালাস দেন।
আইনজীবীদের মতে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই নির্বাচনপূর্ব সময়ে অপু ও অন্যান্য বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। মামলাটির কারণেই অপুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। গুরুতর অসুস্থতার কারণ দেখিয়েও অনেক দিন তিনি জামিন পাননি। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৬ আগস্ট গনঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
অপুর আইনজীবীরা বলছেন, মিয়া নূর উদ্দিন অপুকে ছয় বছর সাত মাস কারাগারে আটক রেখে তার জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল। কথিত মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও তারা উত্থাপন করেন। তবে আদালতে মামলার ভিত্তিতে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় অবশেষে ট্রাইব্যুনাল থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বায়ান্ন/এএস