![](https://dainikbayanno.com/storage/inshot-20241214-194447617.jpg)
এম এইচ শাহীন, গাজীপুর: ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ- সভাপতি ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এ্যাড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সহযোগী রুহুল আমিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার অ্যান্টি- টেররিজম ইউনিট।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আরেফের নেতৃত্বে উত্তরায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এ্যাড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সু- সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে এই রুহুল আমিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ- সভাপতি বনে যান। আরও জানা যায়, রুহুল আমিন মণ্ডল জাহাঙ্গীর আলমের গার্মেন্টস ব্যবসা থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসার দেখাশোনা করতেন।
গত ৫ আগস্টের পর জাহাঙ্গীর আলম সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই রুহুল আমিনই জাহাঙ্গীরের সব ব্যবসার দেখাশোনা করে আসছিলেন। পুলিশ জানায়, গাজীপুর এবং ঢাকায় এই রুহুল আমিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ছাত্রলীগের কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে উত্তরায় হাউজবিল্ডিং এলাকায় এলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই সময় জাহাঙ্গীরের পিএস আতিকুর রহমান জুয়েল এবং এই ক্যাশিয়ার রুহুল আমিন মণ্ডল ঘটনাস্থলেই এলোপাতাড়ি গুলি করে পাঁচজন ছাত্রকে হত্যা করেন। পরে উত্তেজিত জনতা জাহাঙ্গীরকে পিটিয়ে আহত করে, জাহাঙ্গীরের পিএসকে পিটিয়ে মেরে ল্যাম্প পোস্টে ঝুলিয়ে রাখে। তবে ওই ঘটনায় রুহুল আমিন মণ্ডল কৌশলে জনতার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান। ছাত্র গণহত্যার ওই দিনের ঘটনায় রুহুল আমিনকে আসামি করে উত্তরা থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কৌশলে রাজধানীতে পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে কাউন্টার অ্যান্টি- টেররিজম ইউনিট তার খোঁজে নামে। পরে তথ্য- প্রযুক্তির ব্যবহারে তার অবস্থান চিহ্নিত করে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।