কক্সবাজারে আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৮ম দফায় প্রথম দিনে মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামের অসমাপ্ত জেরা শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমালের আদালতে জেরা শুরু হয়।
গত ১৭ নভেম্বর ৭ম দফার শেষ দিন তদন্ত কারী কর্মকর্তা আদালতে জবানবন্দি দিয়ে তার স্বাক্ষগ্রহন ও জেরা অসমাপ্ত ছিল। আজ তার অসমাপ্ত জেরার মধ্য দিয়ে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষী হচ্ছে মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা। তার অসমাপ্ত জেরার মধ্য দিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। আজ সোমবার মামলার মুল তদন্তকারি কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামের অসমাপ্ত জেরার জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আজ শুধু মুল তদন্ত কারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামেরকে জেরা করবেন। তাকে আসামি বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত এবং বরখাস্ত ওসি প্রদীপ এবং এই মামলায় আসামি হওয়া পুলিশের তিন সোর্স পক্ষের আইনজীবীবৃন্দ জেরা করবেন। ইতিপূর্বে এই মামলায় আদালতে ৬৪ জন স্বাক্ষী দিয়েছেন। এএসপি খাইরুল ইসলাম এই মামলার ৬৫ তম স্বাক্ষী দিচ্ছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টায় ওসি প্রদীপ সহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।