সিলেটে কয়েকজন প্রার্থীর বর্জনের মধ্যেও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। আর বাকি একটিতে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলতলী পীরের ছেলে আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী।
সিলেট-১ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তার সাথে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেননি কোন প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বি চার প্রার্থীর সবাই জামানত হারিয়েছেন।
সিলেট-২ আসনে ৮৮ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান মুহিব ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৩৬ ভোট। এই আসনে সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ৬৮৩৭ ভোট।
সিলেট-৩ আসনে ৮০ হাজার ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ট্রাক প্রতীকে ৩৫ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়েছেন।
সিলেট-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৭ হাজার ৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূল বিএনপির আবুল হোসেন সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১১ ভোট। এছাড়া ওই আসনের ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন কামরান মিনার প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫২ ভোট।
সিলেট-৫ আসনে ৪৪ হাজার ৭৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, ফুলতলী পীরের ছেলে আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী। তার প্রতীক ছিল কেটলি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকার প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমদ ৩২ হাজার ৫১ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. আহমদ আল কবীর ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
সিলেট-৬ আসনে ১৬ হাজার ৪৮৬ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে নৌকা প্রতীক। নৌকা প্রতীকে ৫০ হাজার ৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন ঈগল প্রতীকে ৩৩ হাজার ৬০৪ ভোট।