সিলেটে আপন বড় বোনের শিশুমেয়েকে নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর বাসার গেটে ওই শিশুকে দিয়ে ফের ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন নুরুন্নাহার নামের সেই তরুণী। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে এসে তিনি শিশুটিকে বাসার গেটে নামিয়ে দিয়ে ফের লাপাত্তা হয়ে যান।
নিজের মেয়েকে ফিরে পেয়ে মা-বাবার মাঝে স্বস্তি বিরাজ করলেও নুরুন্নাহার ফিরে না আসায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন স্বজনরা।
শিশু আশাকে ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মা জেসমিন আক্তার শিউলি।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে মহানগরের কোতোয়ালি থানাধীন খুলিয়াপাড়ায় আপন বড় বোনের শিশুমেয়েকে নিয়ে এক তরুণী লাপাত্তা হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে রাতে নিখোঁজ শিশুর মা কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডিতে উল্লেখ, খুলিয়াপাড়ার ১৩ নং বাসায় বড় বোন জেসমিন আক্তার শিউলি ও দুলাভাই আব্দুল আহাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন নুরুন্নাহার (১৮) নামের নিখোঁজ ওই তরুণী। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে নুরুন্নাহার তার বড় বোনের ৫ বছরের মেয়ে আনহা জান্নাত আশাকে নিয়ে নগরের জিন্দাবাজার যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায়ও তারা বাসায় না ফিরলে আশার মা নুরুন্নাহারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বারে কল দিলে সেটি বন্ধ পান। এতে উদ্বীগ্ন হয়ে পড়েন শিশু আশার মা-বাবা ও দাদিসহ পরিবারের সদস্যরা। তার দাদি বিলাপ করে কাঁদতে শুরু করেন। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নুরুন্নাহার একটি অটোরিকশাযোগে বাসার গেটে এসে তার বোনের মেয়ে আশাকে ফিরিয়ে দিয়ে তিনি ফের চলে যান।
এ বিষয়ে জেসমিন আক্তার শিউলি বলেন- মূল বিষয় কী এখনও বুঝতে পারছি না। আমার বোন (নুরুন্নাহার) কেন আমার মেয়েকে নিয়ে এভাবে নিখোঁজ হলো এ বিষয় এখনও খোলাসা হয়নি। তার ফোন বেশিরভাগ সময় বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আর আমার বোনকে আমার স্বামীর বাড়ির লোকেরা যতটা খারাপভাবে উপস্থাপন করছেন সে আসলে ততটা খারাপ নয়। সে কিছুটা একগুঁয়ে। তাই কারো পরামর্শ শুনে না, নিজের মনে যা আসে তাই করে। আমার বোনের কোনো ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কি তাও জানি না।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদকে মুঠোফোনে একাধিবকার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।