ঢাকা, সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে ১৯ ইউপিতে আওয়ামীলীগের ৪১ বিদ্রোহী প্রার্থী

কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ,সুনামগঞ্জ: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৪৭:০০ পূর্বাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

সুনামগঞ্জে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। তিন উপজেলার ২১ ইউনিয়নের ১৯ টিতেই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কোন কোন ইউনিয়নে ৩-৪ জন করে দলীয় নেতা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিনে ১৯ ইউনিয়নে ৪১ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এসব ইউনিয়নে ভোট।

 

জেলার বিশম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা হলেন, দলের নেতা প্রবোধ চন্দ্র রায় ও জিয়াউল হক তুহিন, পলাশ ইউনিয়নে সুহেল আহমদ, সলুকাবাদে মো. মহরম আলী, ধনপুর ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম তালুকদার ও মিলন মিয়া।

 

জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নে বিদ্রোহীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল হক ও আব্দুল আহাদ আজাদ, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আরশ মিয়া, শহীদুল ইসলাম বকুল ও আব্দুল মুমিন, রানীগঞ্জ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম রানা, সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নে মকছুদ কুরেশী, আজাহার কামালী, তানভির কামালী, আশারকান্দি ইউনিয়নে আয়ুব খান, শেখ জমিরুল হক ও আবু বখর খান।

দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নে বিদ্রোহীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান রেজুয়ান হোসেন খান ও দলের নেতা জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ভাটিপাড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান কাজী, বদরুল ইসলাম চৌধুরী মিফতা, রুহুল আমিন তালুকদার ও বিজিত চন্দ্র দাস, রাজানগর ইউনিয়নে জহিরুল ইসলাম, আমিন মিয়া, রানা মিয়া ও নওশেরান চৌধুরী, চরনারচর ইউনিয়নে পরিতোষ রায় ও পরেশ লাল রায়, সরমঙ্গল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী, কানু লাল দাস, সেলিম মিয়া, আবুল বাশার ও তপন দাস, করিমপুর ইউনিয়নে সিজিল মিয়া, জগদল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শিবলি আহমেদ বেগ, তাড়ল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুছ ও আকিকুর রেজা, কুলঞ্জ ইউনিয়নে পবিত্র মোহন দাস ও চান মিয়া চৌধুরী।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেছেন, প্রত্যাহারের শেষদিন (৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। দলের পদধারীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। অন্যথায় দলের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ দল থেকে বহিস্কার করা হবে। দলের পদে থেকে দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতা করার কোন সুযোগ নেই। তার মতে দলে পদ নেই, দলীয় ঘরানার বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অনেকে প্রার্থী হয়ে নৌকার ক্ষতি করছেন।

প্রসঙ্গতঃ তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে (২৮ নভেম্বর) সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জের ১৭ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীতদের ভরাডুবি হয়েছে। শান্তিগঞ্জে দলের মনোনীত কেবল দুই প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।