সুনামগঞ্জে ৩১টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেনরায় বলেন, বেশির ভাগ হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে হাওর তলিয়ে গেছে।
এদিকে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে ইজারার বিলে মাছ প্রবেশ করাতে গিয়ে বাঁধ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় এক মাস ধরে উপজেলার ধনু নদের কীর্তনখোলা বাঁধ মেরামত করে আটকে রাখলেও মাছের জন্য বাঁধ ভেঙে দেওয়ায় তলিয়ে গেছে কয়েকশ হেক্টর জমি। ভেসে গেছে গো-খাদ্য।
জানা গেছে, ওজানের ঢলে ধনুর পানি বেড়ে কীর্তনখোলা বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। প্রাণপণ চেষ্টা করে বাঁধ ঠিক রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাছ ধরতে এবং মাছের প্রজনন বাড়াতে বন্দের পেটনা বিলের জন্য পুরনো বাঁধটি সোমবার রাতে কেটে দেওয়া হয়। ইজারাদার বাঁধটি কেটে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ডুবন্ত সড়ক তলিয়ে পানি ঢুকছে জগন্নাথপুর পশ্চিমের হাওরের ফসলি জমিতে।
এদিকে সুনামগঞ্জে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে হালির হাওরও। এতে পানির নিচে ডুবে গেছে কৃষকের বিস্তর জমি।
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার হালির হাওর ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ক্রমেই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে হাওরের অবশিষ্ট ফসল।
সোমবার মধ্যরাতে হাওরের আছানপুর বাঁধ ভেঙে হাওরে প্রচণ্ড বেগে পানি ঢুকতে শুরু করে। রাত পেরিয়ে বিকাল হতেই তলিয়ে যায় বৃহৎ আয়তনের এই হাওরটি। চলতি মৌসুমে হালির হাওরে ৫ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছিলেন কৃষকরা।
তারা জানান, ইতোমধ্যেই হাওরের প্রায় ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকায় তলিয়ে গেছে অবশিষ্ট ধান। বাঁধ ভাঙার আকস্মিক ঘটনায় বহু কৃষকের মাড়াই করা ধান পানিতে ভেসে গেছে।