সৈয়দপুর পৌরসভা কর্তৃক রেলের ব্যাকবোন ড্রেন দখল করে মার্কেট নির্মান শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক দাবানল পত্রিকার সাংবাদিক মোতালেব হোসেন হককে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিতকারী মূল আসামী আসাদ ও তার সঙ্গী নজির, বিপ্লব, স্বপন ও সুমন এর নামে ফৌজদারী মামলা করেন মোতালেব হোসেন হক। বহু নাটকীয়তার পর নানান চাপে শেষমেষ সংবাদ সম্মেলন করলেন সাংবাদিক পেটানোর হুকুমদাতা ও হাত নয় পা দিয়ে মারতে চাওয়া সৈয়দপুর উপজেলার চেয়ারম্যান কুখ্যাত আত্মস্বীকৃত ভূমিদস্যু মোকছেদুল মোমিন। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও জাতীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে সারা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত ২৬ শে এপ্রিল ২০২২ইং তারিখে স্থানীয় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এক সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করেন উক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান। উক্ত সম্মেলনে তিনি সাংবাদিক পেটানো সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্তকৃত মূল আসামীকে নিজের পাশে বসিয়ে বীরদর্পে সম্মেলন করেন। সম্মেলনে তিনি তার কুকর্মের বর্ণনা না দিয়ে নানারকম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে হুমকির সুরে বলেন তিনি ৪৫ বছরের রাজনীতিতে সাংবাদিকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং তিনি নাকি সাংবাদিক বান্ধব নেতা। অথচ তার কুকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরা দৈনিক দাবানলের সাংবাদিককে তিনি কখনোই বরদাস্ত করতে পারেন নাই।
সম্মেলনে তিনি আরো বলেন আমি সারাজীবন আওয়ামীলীগের সাথে বেঈমানী করিনি অথচ তিনি আকতার হোসেন বাদলের পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ভোট না করে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর টেলিফোন মার্কার পক্ষে তার রেল শ্রমিকলীগ অফিসে ভোটের ক্যাম্প বসিয়ে ভোট করেন এমনকি পৌরসভায় প্রথম নৌকা মার্কার প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে ভোট করেন। যা নির্বাচন পরবর্তীতে নৌকার প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খোকন সৈয়দপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য দেন। তিনি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মানুষ জবাইকারী কসাই নইম গুন্ডার সন্তান দিলনেওয়াজ খানকে তার নিজ স্বার্থে রাজনীতিতে পূর্নবাসিত করেন। স্থানীয় পৌর আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড বিয়টির প্রতিবাদ করলেও তিনি তার কুকর্মের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য এই দিল নেওয়াজ খানকে রাজনীতিতে জিইয়ে রাখেন।
উক্ত সম্মেলনে এক নারী সাংবাদিক তাকে ভূমিদস্যু বলা হয় কেন প্রশ্ন করলে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কৌশলে অন্য প্রসঙ্গ টানেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ ন্যায়ের পক্ষ অবলম্বনকারী মুজিব আদর্শের কোন নেতা উপস্থিত ছিলেন না তিনি তার অনুগত ক্যাডার ও ভাইজান বাহিনীর লোকজনকে একত্রিত করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন।