শিশুদের আকর্ষণীয় ও মজার খাবার হাওয়াই মিঠা যার ইংরেজি নাম কটন কেন্ডী।
শয়েক দামী দামী চকোলেট,আইসক্রীম কিংবা ক্যান্ডিতে বাজার সয়লাব হলেও পুরনো সেই হাওয়াই মিঠাই এর কদর কিন্তু এখনও এতটুকুও কমে নি।আজও যখন বাচ্চারা স্কুলের গেটের সামনে কিংবা মার্কেটের বাইরে হাওয়াই মিঠাইওয়ালাকে দেখে দৌড়িয়ে লাফঝাঁপ দিয়ে তারাই সবার আগে ভিড় জমায়।শুধু বাচ্চারা কেনো?এমনি বড়দেরও প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোরা এই ছোট্ট ছোট্ট রঙ্গিন মেঘের টুকরোদের দেখলে জিভে জল চলে আসে।
রাকিব বাড়ী নেত্রকোনা থাকে মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট পৌরসভা এলাকায়। বাসার পাশে কেন্ডী তৈরী হয়, সেখান থেকে কিনে সকালে বের হয় বিক্রির জন্য। সে প্রতিদিন ৭০-৮০ টি হাওয়াই মিঠা বিক্রি করে,কোন কোন সময় ১০০ টা।গড়ে সে লাভ পায় দৈনিক ৩০০ টাকা বা তার বেশী। তবে এটা দিয়ে তো পরিবার চলে না,কিছুটা আক্ষেপ কারন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে হিমশিম খাচ্ছে। অন্য কোন কাজ না জানাই এটাই তার একমাত্র ভরসা।
সে আরও বলে, আমারা যারা হাওয়াই মিঠাইয়ের ব্যবসা করি তারা মূলত দুই ধরনের হাওয়াই মিঠাই তৈরি করি। একটি সাদা রঙের, অপরটি গোলাপি। সাদাটা প্রতি পিছ তৈরি করতে আমার ২৫ গ্রাম চিনি খরচ হয়। এতে চিনিসহ অন্য খরচ মিলিয়ে ৫ টাকার মতো খরচ হয়। আর বিক্রি করি ১০ টাকা করে প্রতি পিছ। ১ কেজি দিয়ে ৫০ পিছ তৈরি করতে পারি। গোলাপিটার খরচ একটু বেশি পড়ে। কারণ ওইটার সঙ্গে খাবারের যোগ্য গোলাপি রং মেশাতে হয়। গোলাপি প্রতি পিছ তৈরি করতে ৬ থেকে ৭ টাকা খরচ হয়, কিন্তু ১০ টাকা করেই বিক্রি করি। গোলাপি হাওয়াই মিঠাইতে লাভ একটু কম হয়।
কিন্ডারগার্টেন এর শিশু অনিক দাদা সহ স্কুল থেকে বাসায় যাওয়ার পথে হাওয়া মিঠা দেখে বায়না ধরে। দাদা খুশি মনে একটি কিনে দেয়,তখন আরো চায় সে পরে দুইটি পেয়ে তার আনন্দ। এরকম হাজারো শিশু কিশোরদের মজার খাবার হাওয়াই মিঠা। আর যা বিক্রি করে জীবন চালায় হাজারো রাকিবরা।