ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হ্যালো সুনামগঞ্জবাসীর প্রিয় মন্ত্রী আপনার দিকে তাকিয়ে আছেন কৃষককূল

এমএ রহিম, সিলেট: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৫ এপ্রিল ২০২২ ০৩:৩৩:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

 

 

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ৪ এপ্রিল একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ওই জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ আগামী ২৪ ঘন্টা সার্বক্ষণিক তদারিক করার জন্যে সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অনুরোধক্রমে জেলা প্রশাসন, সুনামগঞ্জ।

 

জরুরি এই বিজ্ঞপ্তি সুনামগঞ্জবাসীর মধ্যে ভালো-মন্দ আলোচনা চলছে। আলোচনা জুড়েই রয়েছে হৃদয় বিদারক কথা। সিংহভাগ কৃষকের বোরো ফসল যেকোনো সময় পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সরকারের দেয়া কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ফসল রক্ষা বাঁধ সঠিকভাবে নির্মাণ হলে কৃষদের মাঝে ওই হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখা দিত না। 

 

এই অঞ্চলের কৃষকরা বছরে একবারই ফসল ফলাতে পারেন। সেই ফসলটি হলো বোরো ধান। এই ফসল ফলানোর জন্যে কৃষকরা অর্থ আর শ্রম সব বিনিয়োগ করেন। কিন্তু ফসল রক্ষা বাঁধের কারণে প্রায় প্রতিবছরই কৃষকরা তাদের সিংহভাগ ফসল ঘরে তুলতে ব্যর্থ। 

 

আধুনিক সুনামগঞ্জের রূপকার পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এই অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সমস্ত মেধা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষকের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া নিবেদিত প্রাণ পরিকল্পনামন্ত্রী ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দফায় দফায় সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করিয়েছেন। কিন্তু পরিকল্পনামন্ত্রীর স্বপ্ন সাধনাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছেন কতিপয় সিন্ডিকেট। এই অবস্থায় আতঙ্কিত কৃষকরা এখন তাকিয়ে আছেন পরিকল্পনামন্ত্রীর দিক নির্দেশনার।    

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে। বিভিন্ন হাওরের কয়েকটি ফসলরক্ষা বাঁধ ধসে পড়েছে। গত শনিবার সকালে টাঙ্গুয়া হাওরের নজর খালি বাধ ভেঙ্গে গেছে।

 

 

একইদিন রাতেই টাঙ্গুয়া হাওরের পার্শ্ববর্তী মাটিয়ান হাওরের আনন্দনগর পংখির খাল ফসলরক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দেয়।

 

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, ফসলরক্ষা বাঁধে যথা সময়ে মাটির কাজ করা হয়নি। মাটি ধুরমোজ, বাঁশ, বস্তা না দেয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে বাঁধের মাটি ধসে পড়ছে। আর এক এক করে হুমকিতে পড়ছে বৃহৎ মাটিয়ান, শনিসহ সবক’টি হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ।

 

মাটিয়ান হাওরের বোয়াল মারা ক্লোজার বাঁধ, কাউকান্দি আলমখালি, বড়দল মেশিন বাড়ি, ঠাকাঠুকিয়া কেন্দুয়া নদীর মুখ, শনির হাওরের নান্টুখালি, সাহেব নগর বাধগুলোতে নামমাত্র বাশ বস্তা দেওয়া আছে, আবার কোনোটিতে মাটি ছাড়া কোনো কিছুই নেই। ফলে পাহাড়ি ঢলে বাঁধগুলো হুমকিতে পড়ছে। হাওর পাড়ের কৃষকরা এখন রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন। বাঁধের অবস্থা খারাপ দেখলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। 

 

কৃষকরা বলেছেন, অবস্থা নাজুক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। অস্তিত্ব রক্ষায় কৃকষরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। তাঁরা এখন ওইসব বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে তাদের প্রিয় নেতা পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।