ঝিনাইদহের সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের ঘোড়ামারা থেকে দুর্গাপুর সড়কের ভোগান্তী ছিল দীর্ঘ দিনের। ভাঙা সড়ক আর হাটু সমান কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হতো প্রায় ২০ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে চলা এই ভোগান্তীর অবসান হয়েছে। সরকারের এলজিইডি বিভাগ ওই এলাকার রাস্তাটি পুনঃসংস্কার করায় স্বস্তি এসেছে সড়কে চলাচলকারীদের মাঝে।
জানা যায়, ঝিনাইদহ এলজিইডি বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘোড়ামারা আর এইচডি পাঁচ মাইল থেকে শৈলকুপা উপজেলার পীড়াগাতি পর্যন্ত সড়কের পুনঃসংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করেন। ৩৬’শ মিটার এই কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইমন এন্টারপ্রাইজ ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে কাজ শুরু করে। চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কাজ শেষ হয়। ভাঙা আর খানাখন্দে ভরা রাস্তায় এখন পাকা সড়ক পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ওই সড়কে চলাচলকারীরা।
পার্শবর্তী বাকড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটির জন্য কষ্ট করেছি। বৃষ্টির সময় তো এই রাস্তায় চলাচলই করা যেত না। এলজিইডি বিভাগ কাজটি করে দিয়েছে বলে তাদের ধন্যবাদ জানায়। সড়কের সংস্কার কাজও সুন্দর ভাবে হয়েছে। কাজের মানও ভালো।
ইজিবাইক চালক সুলাইমান হোসেন বলেন, ঝিনাইদহ যেতে হলে আগে আমাদের ৮/১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো। এই রাস্তাটি হওয়ার কারনে আমাদের অনেক সময় কম লাগে। আর রাস্তাটির কাজের মান ভালো হওয়ার কারণে আমরা খুশি।
দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী খুশি খাতুন বলেন, আগে আমাদের স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হতো। এই রাস্তা দিয়ে তো ভ্যান, ইজিবাইক কিছু চলত না। অনেক কস্ট করে স্কুলে যেতে হতো। এখন পাকা হওয়ার কারণে সহজেই ইজিবাইকে করে স্কুলে যেতে পারছি।
ঝিনাইদহ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। শৈলকুপা অংশে কিছুটা বাকি আছে সেটিও করা হবে। কাজ চলাকালীন সময়ে আমাদের কর্মকর্তারা তদারকি করেছে। কাজের মানও ভালো হয়েছে। সড়কটি সংস্কার করার কারণে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা পুরণ হয়েছে।