নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, সন্ত্রাসী হামলা ও জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন সিলেট-৩ আসনের সতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। তিনি ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
সোমবার সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকায় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন। পাশাপাশি ভোটের দিন বিকেল পৌণে ৪টায় সামগ্রিক অনিয়ম বিবেচনায় তিনি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্ধীতা প্রত্যাহার করে নেন বলেও দাবি করেন।
ডা. দুলালের অভিযোগ তার নির্বাচনী এলাকার প্রায় ৪৭টি ভোট কেন্দ্র থেকে ট্রাক প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে নৌকার এজেন্টরা নির্বাচন পরিচালনাকারীদের সহায়তায় জাল ভোট প্রদানের উৎসব শুরু করেন। তাছাড়া ট্রাক প্রতীকের কর্মীদের মারধর, হুমকি ধামকি প্রদান ও পেশী শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করেন। এসব বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করলেও তারা তা আমলে নেননি।
লিখিত বক্তব্যে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণাকলে তার কর্মীদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। পোস্টার, লিফলেট ছিড়ে ফেলা হয়। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে নৌকার প্রার্থীর কম্বল বিতরণ, স্কুলে অনুদানের ঘোষনা, তোরণ নির্মাণ সহ নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। নির্বাচনের দিন দুপুর থেকেই শুরু হয় সন্ত্রাস আর জাল ভোটের উৎসব। সকাল থেকেই তাঁর বিভিন্ন এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় ও কোন কোন জায়গায় ঢুকার পর বের করে দেওয়া হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টায় বালাগঞ্জের বোয়ালজৃুড় বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানে বাধা দিলে তাঁর একজন কর্মীকে নৌকার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমন করে মারাত্বক জখম করে। শুধু তাই নয় আক্রান্ত ব্যক্তিকে আটকে রেখে অন্যান্য এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। একই সময় বালাগঞ্জের বোয়ালজুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা, ট্রাক এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সোনাপুর কেন্দ্রে সকল এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়। নির্বাচন পরবর্তী এখন পর্যন্ত তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন কর্মীদের মারধর ও বাড়ি ছাড়া করার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ফলাফল প্রত্যাখান করেন।
ডা: দুলাল আরো বলেন, কামালবাজার জালালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটি নৌকার প্রার্থীর সেজন্য সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উক্ত কেন্দ্রে ভোট গ্রহন শুরু হয়। কারণ নৌকার প্রার্থী নিজে প্রথম ভোট প্রদানের মাধ্যমে ভোট গ্রহন কার্যক্রম শুরু করবেন সেজন্য এই অনিয়ম।