জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কিছু মজুতদারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখনও চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ভোক্তা অধিকারবিষয়ক সচেতনতামূলক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ও রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে ইডেন মহিলা কলেজ। ঢাকার কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের মহাপরিচালক বলেন, আমাদের অভিযানের পরে খাতুনগঞ্জ ও শ্যামবাজারের থরে থরে সাজানো পেঁয়াজ কীভাবে উধাও হয়ে গেল? কারা পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখেছে? গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ মজুতদারদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে দেশের ৫৪টি জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দ্রব্যমূল্যের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে মজুতদাররা সরকারের চেয়েও পাওয়ারফুল। সুযোগ পেলেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাও তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। জনগণকে তারা বেকায়দায় ফেলতে চায়। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের কষাঘাত থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে হবে। তার জন্য দরকার ব্যবসায়ীদের মানসিকতার পরিবর্তন।