তথ্যমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা পেশাদার সমালোচক, আর কিছু আছেন রাজনৈতিক সমালোচক; যারা বলছেন এটা ঘাটতির বাজেট। যারা পেশাদার সমালোচক তারা রিসার্চ করে সমালোচনা করেন— এটা কতটুকু সত্য সেটা জানি না। কারণ পড়াশোনা করে সমালোচনা করলে বাজেট নিয়ে এ ধরনের কথা বলতে পারতেন না।’ এই বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজেট ঘাটতি ৫ দশমিক ২, আর ভারতের ৫ দশমিক ৯, যুক্তরাজ্যে ৬ এবং এমন শতাধিক দেশ ঘাটতি বাজেট দিচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশের বাজেট কীভাবে ঘাটতির বাজেট হলো?’
রবিবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ‘রাজনৈতিক’ সমালোচকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘যারা রাজনৈতিক সমালোচক, তাদের জন্য বলবো এটা গরিবের বাজেট। কারণ দুই কোটি মানুষকে কম দামে খাদ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই যারা বাজেট নিয়ে সমালোচনা করছেন, তাদের এখান থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। কারণ তত্ত্বাবধায়কের দাবি মাঠে মারা গেছে। পৃথিবীর কোনও দেশই তাদের দাবি সমর্থন করেনি।’
‘অনেকেই সরকারের পেশাদার সমলোচক’ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (সমালোচক) খোঁজখবর না নিয়ে সমলোচনা করে। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি— জিডিপির অনুপাতে ৫ দশমিক ২ শতাংশ ঘাটতি। যা ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের চেয়ে ঘাটতি কম।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেবে বলেছেন, সরকারের লাফালাফি কমে গেছে। তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় একটু লাফান। বিএনপির পেছনে আজরাইল আছে, তার সঙ্গে আবার শয়তানও আছে। তাই শয়তান যার সঙ্গে থাকে, আজরাইল তার কাছে আগে পৌঁছায়। তাই আত্মতুষ্টিতে না ভুগে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার সুযোগ নেই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো আগেও ছিল, এখনও আছে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এতটুকুও নষ্ট হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন— সেটা হলো দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গেও বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভালো। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে।’
যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ট। সেটি ধরে রাখার পাশাপাশি আরও বাড়ানো হবে। এছাড়া যেসব দেশে সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব অঞ্চলে সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ে টেনশনে আছেন, তাদের টেনশন দূর করতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।’
বিএনপির তথ্য সংগ্রহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকারও তথ্য সংগ্রহ করছে। যারা আগুন সন্ত্রাস করেছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে, উসকানি ও অর্থদাতাদের তালিকাও হবে। বিএনপির যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেসব মামলার বাদি, তদন্ত কর্মকর্তা ও গুম খুনের সঙ্গে যুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের তালিকা করেছে দলটি। সরকারও বিএনপির যেসব নেতাকর্মী আগুন সন্ত্রাসে জড়িত ছিল এবং নির্বাচনে বাঁধা দিয়েছে তাদেরও তালিকা করছে। এসব তালিকা যেখানে পৌঁছানোর সেখানে পৌঁছে দেবো এবং আমি নিজেও একটি মামলার বাদি হবো।’