স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা দিবসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য যে কেউ ক্ষুব্ধ হতে পারেন। প্রথম আলো যে সংবাদটি প্রকাশ করেছে, সেটা যে মিথ্যা ছিল, তা ৭১ টিভির সংবাদে পরিষ্কার হয়েছে । প্রথম আলোর প্রতিবেদন নিয়ে রাষ্ট্রের আপত্তি নয়, মামলার ভিত্তিতে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, “স্বাধীনতা দিবসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য যে কেউ ক্ষুব্ধ হতে পারেন। তাদেরই একজন মামলা করেছেন সাভারে। প্রথম আলো যে সংবাদটি প্রকাশ করেছে, সেটা যে মিথ্যা ছিল, তা ৭১ টিভির সংবাদে পরিষ্কার হয়েছে।”
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বেসরকারি রিহ্যাবিলেটেশন সেন্টারের মধ্যে অনুদান বিতরণ ও বার্ষিক ড্রাগ রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তবে কে এই মামলা করেছেন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এছাড়া একজন সাংবাদিককে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলেও তিনি এর কোনো জবাব দেননি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। রাষ্ট্রও আইন অনুযায়ী চলে। আপনারা যেভাবে বলছেন, আমি পরিষ্কার করে এর উত্তর দিতে পারছি না। কারণ, আমার কাছে সব রিপোর্টগুলো এখনো আসেনি। আমি বিভিন্নভাবে যতটুকু অবগত হয়েছি, মামলাকে কেন্দ্র করে, খুব সম্ভবত কিছু একটা ঘটনা ঘটেছে, আমি এখনো পরিষ্কার নই। আমি পরিষ্কার হয়ে আপনাদের জানাতে পারব। তবে প্রথম আলোর সাংবাদিক সাহেব যে সংবাদ করেছেন, এটা সঠিক ছিল না।”
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, স্বাধীনতা দিবসে আমরা এতদূর এগোনোর পরে এই ধরনের একটা ভুয়া নিউজ যদি কেউ দেয়, যে কেউ সংক্ষুব্ধ হতে পারে।”
শামসুজ্জামান যে প্রতিবেদন করেছেন সেটি নিয়ে “রাষ্ট্রের আপত্তি আছে” বলে জানানো হয়েছিল তাকে তুলে নেওয়ার সময়- উল্লেখ করলে মন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রের আপত্তি নয়, একটা মামলা হয়েছে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্তি বর্তমানে আমাদের দেশের একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে এবং আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমাদের দেশের মূল সম্পদ হচ্ছে আমাদের জনশক্তি। এই জনশক্তির দুই-তৃতীয়াংশ হচ্ছে তরুণ ও যুবসমাজ। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের তরুণ ও যুবসমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আজ মাদক নামক মরণ নেশায় আক্রান্ত। ফলে আমাদের দেশ আজ ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মাদক সেবনের ফলে আমাদের তরুণ ও সযুসমাজ জীবনীশক্তি, সৃজনশীলতা, নৈতিকতা ও মেধা শক্তি হারিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, খুন ও সন্ত্রাস।
মন্ত্রী বলেন, “তিনভাবে আমরা মাদক সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে থাকি। এর একটি হচ্ছে মাদকের সরবরাহ হ্রাস, অন্যটি মাদকের চাহিদা হ্রাস ও এবং তৃতীয়টি হচ্ছে মাদকের অপব্যবহারজনিত ক্ষতি হ্রাস। এই তিনটি দিক নিয়েই আমাদের সরকার কাজ করছে।”
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।