ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অগ্নি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:২৮:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেনসময় এসে গেছেজনগণকে অগ্নি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। অগ্নি-সন্ত্রাসীরা যে যেখানেই থাকুকযারাই আগুন দেবেজনগণের ওপর অত্যাচার করবেসঙ্গে সঙ্গে জনগণকেই প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসতে হবে। কারও ওপর নির্ভর করলে চলবে না। জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে।

 

শুক্রবার ( নভেম্বরবঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেনআজকে বিএনপির যেই অগ্নি-সন্ত্রাসতাদের যে বীভৎস চেহারাতারা যে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করে। একটা নিরীহ পুলিশ চাকরি করেতার কী অপরাধ ছিল। যে তাকে এতো অমানবিকভাবে হত্যা করল। এবং এটা শুধু একবারই না ২০১৩ সালে একই ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য একই ঘটনা ঘটিয়েছেএরপর ২০১৫ তেও একই ঘটনা। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করাআগুন পোড়ানোগাড়িঅফিস-আদালতরেল-লঞ্চ কি বাদ দিয়েছে তারাসবই আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। হাজার হাজার গাছ কেটে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ যখনই প্রতিরোধ করেছেতখনই তারা থেমে গিয়েছে।

 

তিনি বলেন২০১৩ সালেও তারা নির্বাচন বানচাল করতে ৫২৫টি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছিল। যেখানে নির্বাচনী কেন্দ্র ছিল। তারপরও কিন্তু নির্বাচন থামাতে পারেনি। তারা জানে যে নির্বাচন করলে কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারণ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টি পেয়েছিল। আর এখন তাদের অপকর্মের জন্য মানুষ তো আরও তাদের প্রতি বিমুখ। আর নির্বাচন কাকে নিয়ে করবেনির্বাচন করলে তাদের নেতা কেকাকে প্রধানমন্ত্রী করবেকাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবেবিএনপির চেয়ারপারসন (খালেদা জিয়াতো এতিমের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর তারেক রহমান তো অস্ত্র  মানিলন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।

 

 

সরকারপ্রধান বলেন১৯৭৫ সালে  নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল আমাদের জাতীয় চার নেতাকে। কারাগার সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গাএই কারাগারই ঢুকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।