ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

অস্তিত্ব রক্ষার ফরিয়াদ শেরপুরবাসীর

জুবের আহমদ, ওসমানীনগর: | প্রকাশের সময় : বুধবার ৯ মার্চ ২০২২ ১০:২৪:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

মৌলভীবাজার জেলার শেরপুরবাসীর অস্তিত্ব রক্ষার দাবি উঠেছে। ৬ লেইন রাস্তা পরিকল্পিতভাবে তৈরি করতে ওই এলাকার মানুষ তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন। এতে সরকারের লাভের পাশপাশি স্থানীয়দের অস্থিত্ব রক্ষা হবে। 

 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৬ লেইন প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক এবিএম সেজ্জাদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শেরপুর এলাকা পরিদর্শনে গেলে শেরপুরের বাসিন্দারা তাদের দাবি তুলে ধরেন। শেরপুরবাসীর পক্ষে দাবি তুলে ধরেন স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু মিয়া, শেরপুরের ব্যবসায়ী সৈয়দ লিয়াকত আলী, মিহির পোদ্দার, লিয়াকত আলী খান, সাবলু আহমদ, দিবাংশু পাল প্রমুখ।

 

শেরপুরবাসী তাদের দাবির কথা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করছে। শেরপুরে তার অংশ হিসেবে ব্যাপক উন্নয়ন শুরু হয়েছে। তিনটি পাওয়ার প্লান্ট স্থাপিত হয়েছে। অর্থনৈতিক জোন চালু হওয়ার পথে। এসব স্থাপনা করতে অনেক জায়গা অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। ওইসব জায়গার মালিকরা ভিটেমাটি ছেড়ে শেরপুর বাজারে তাদের বাসস্থান গড়ে তোলেন। এছাড়া প্রবাসীরা সর্বশেষ সম্বল দিয়ে এখানে ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে তুলেছেন। শেরপুর বাজারকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে এক হাজার পরিবারের জীবীকা পরিচালিত হয়। পাওয়ার স্টেশন, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও আশপাশ এল্কাার মানুষের বাজার হাটের স্থান একমাত্র শেরপুর বাজার। কিন্তু সর্বশেষ ম্যাপ অনুযায়ী  ৬ লেইনের রাস্তা শেরপুর বাজারের উপর দিয়ে তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এতে পুরো বাজারটির অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে। বিলিন হয়ে যাবে শেরপুরবাসীর অস্তিত্ব। 

 

শেরপুরবাসী বলেন, প্রথমে বাজারের পশ্চিম দিক হয়ে, দ্বিতীয়বার ফেরিঘাট হয়ে ৬ লেইন রাস্তার পরিকল্পনা করা হয়। ওই দুইটি ম্যাপের যে কোনো একটি ম্যাপে রাস্তা তৈরি হলে সরকার ব্যাপক লাভবান হবে। কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সেই সঙ্গে রক্ষা পাবে শেরপুর ও এর ব্যবসায়ী-বাসিন্দারা। 

 

 শেরপুরবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক এবিএম সেজ্জাদুর রহমান বলেন, শেরপুরবাসীর প্রতি যাতে কোনো ধরণের অবিচার করা না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া হবে। শেরপুরবাসীর প্রস্তাব ও দাবির কথা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হবে। সার্বিক পদক্ষেপ নেয়া হবে শেরপুরবাসীর দাবি বাস্তবায়নে।