ভারত- বাংলাদেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে একটি মিথ্যা সম্পর্কের বয়ান শুনিয়ে আসছিল। তাই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আওয়ামী স্কলারদের বায়াসড ন্যারেটিভ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আমাদের নতুন আঙিকে এই সম্পর্ককে ভাবতে হবে, সেটাই হবে একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির প্রথম ধাপ বলে মন্তব্য করেছেন নয়া দিল্লীর ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি’র পিএইচডি গবেষক ও কলামিষ্ট শাহাদাৎ স্বাধীন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে তিনটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের ১১৭ নাম্বার রুমে শহিদি মঞ্চের ব্যানারে ‘বিপ্লবোত্তর স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতির মুখ ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন, ২০০০-২০১৭ সাল পর্যন্ত ১ হাজারের বেশী বাংলাদেশিকে সীমান্তে হত্যা করা হয়। হাসিনার আমলের সীমান্ত হত্যা নিয়ে সরকারের পক্ষ কোনদিন প্রতিবাদ জানানো হয়নি। ৭ টি দেশের সাথে ভারতের স্থল সীমান্ত থাকলেও বাংলাদেশ সীমান্ত ছাড়া কোথাও ‘বর্ডার কিলিং’ হয়না। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাথে নেগোসিয়েশনের জন্য বাংলাদেশের কিছু টুলস রয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্য সেসব টুলস দলের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছেন, দেশের স্বার্থ তার কাছে মুখ্য ছিল না।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী সরকারের সময়ে ভারতের সাথে হওয়া অনেক চুক্তির বিস্তারিত দেশের মানুষ জানে না। সকল চুক্তি প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে হবে। চুক্তির মধ্যে যেসব ধারায় বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি রাজনৈতিক দলের স্বার্থে ব্যবহার বন্ধ করার জন্য কমিশন করে একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি তৈরী করতে হবে। নির্বাহী বিভাগকে বহির্বিশ্বের সাথে চুক্তি করার ক্ষেত্রে সংসদের অনুমোদন নেওয়ার আইন চালু করতে হবে।
শহিদি মঞ্চ এর প্রতিষ্ঠাতা সাদিকুর রহমান জানান, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে বের হয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি প্রয়োগ করে এদেশের স্বার্থ রক্ষায় সরকারকে কাজ করতে হবে। এদেশের জন্য যে থ্রেট সেটা মিলিটারি নয় বরং নতজানু কোন রাজনৈতিক দলের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি।তাই আমরা দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আজ বলতে চাই, আমরা স্বাধীন এবং কৌশলগত পররাষ্ট্রনীতি দেখতে চাই।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ-আল-রশিদ নিরবের উপস্থাপনায় জুলাই বিপ্লবের উপর স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। কবিতা আবৃত্তি করেন দর্শন বিভাগের ৫১ ব্যাচের (২য় বর্ষ) শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম ।