১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনী আত্মসমর্পন করলেও নাটোর মুক্ত হয় আজ ২১ ডিসেম্বর। এই দিনে দিঘাপতিয়া উত্তরা গণভবনে পাকবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার নওয়াব আহমেদ আশরাফ মিত্রবাহিনীর ১৬৫ মাউনটেন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার রঘুবীর সিং পান্নুর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র সমর্পণ করেন।
এদিন পাকিস্তানী বাহিনীর ১৫১ অফিসার, ১৯৮ জন জেসিও, ৫৫০০ সেনা, ১৮৫৬ জন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য ও ৯টি ট্যাংক, ২৫টি কামান ও ১০ হাজার ৭৭৩টি ছোট অস্ত্রসহ আত্মসসর্পণ করেন।
জানা যায় , নাটোর ছিল পাক-হানাদারদের ২ নম্বর সেক্টরের হেডকোয়ার্টার। এখান থেকেই দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের যুদ্ধ পরিচালনা করত পাকবাহিনী।
২১ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত পুরো নাটোর ছিল পাকবাহিনীর দখলে। নাটোরের উত্তরা গণভবন ছাড়াও নাটোর আনসার হেডকোয়ার্টার, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কলেজ, নাটোর রাজবাড়ি, পিটিআই ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ছিল পাক-সেনাদের নিরাপদ ঘাঁটি।
আত্মসমর্পণের খবর পেয়ে ওই দিন বিকেলে জয় বাংলা ধ্বনি দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন নাটোরের সর্বস্তরের মানুষ।