ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখনই চাইবে ভারতকে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান

স্বপ্না আক্তার, নীলফামারী | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৪০:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুন, গুম ও হত্যা মামলা আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখনই চাইবে ভারতকে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যেমন ছিল প্রধানমন্ত্রী হাসিনা তেমনই তার উজির-মন্ত্রী। সবাই মিথ্যা কথা বলার প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। কে কত মিথ্যা কথা বলতে পারে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন আওয়ামী সরকার না থাকলে এক রাতেই তার ৫ লাখ নেতাকর্মীদের হত্যা করা হবে। আপনারা বলেন সরকারের পতনের পর তাদের কোনো নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে কি না। যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে সেগুলো মব জাস্টিসের মাধ্যমে হয়েছে। তবুও জামায়াতে ইসলামী এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে নীলফামারী বড় মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, আপনাদের জানিয়ে রাখি স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় যায় তখন তিনি যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেন। তিনি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিত করেন। যারা সকলে ছিল দেশের বাইরের। বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী ছিল না। কিন্তু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার জামায়াতে ইসলামীর মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য উদ্দ্যেশ্যে প্রণোদিতভাবে জামায়াতের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেয়। যে মামলাগুলোতে একদিনের কারাদণ্ড দেওয়া যায় কি না সেটি নিয়েও সংশয় কিন্তু। আওয়ামী লীগ বিচার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে জামায়াত নেতাদের যুদ্ধাপরাধের নামে মিথ্যা অভিযোগে এনে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২৪ এর শহীদদের উত্তরসূরী আপনারা, আমাদের আচরণ রাজনীতির মাধ্যমে শহীদদের সম্মান দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামী কখনও কোনো অন্যায় করে নি, কাউকে অন্যায় করতেও দিবে না। কখনও ঘুষ খায় নি, কাউকে খাইতেও দেব না। কোথাও কোনো লাল ফিতার দৌরাত্ম থাকবে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটা কর্মী সমাজে পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করবে। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যেখানে কোনো শিক্ষিত বেকার থাকবে না। বৈষম্যহীন ন্যায় সমাজ প্রতিষ্ঠা করা আমাদের অঙ্গিকার।

কর্মী সম্মেলনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিলাল, জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার’সহ আরও অনেকে। কর্মী সমাবেশে জেলা জামায়াতে ইসলামীর অর্ধ-লক্ষাধিক কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে