কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ ও নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে উভয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন নিজ নিজ এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক।
কক্সবাজার প্রতিনিধি সাইদুল ফরহাদ জানান, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদসহ পাঁচজনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ঋণখেলাপির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জনতা ব্যাংকের লালদীঘি শাখা থেকে ফিস প্রিজারভারস নামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহউদ্দিন আহমদসহ অন্য পরিচালকরা প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়।
এরপর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সালাহউদ্দিন আহমদ এখনও সেই ঋণের একজন জামিনদার। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ ঋণখেলাপি ছিলেন।
অপরদিকে, নোয়াখালী প্রতিনিধি হাসিব আল আমিন জানান, মামুনুর রশিদ কিরনের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে ঋণখেলাপির কারণে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী মামুনুর রশিদ কিরন একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোনয়নপত্র আইন অনুযায়ী অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।