সিলেটের ওসমানীনগরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ধাক্কা ধাক্কি লাগায় শিক্ষক নেতা ও সাবেক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতার হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষক নেতার কিল ঘুষিতে সাবেক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা আঘাতপ্রাপ্ত হন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার তাজপুর ডিগ্রি কলেজের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে। এসময় তাজপুর শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের হস্থক্ষেপে উভয়কে মারামারি থেকে নিবৃত করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমানের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন থানা প্রশাসনসহ সামাজিক সংগঠনগুলো তাজপুর ডিগ্রি কলেজে ভোর ছয়টার দিকে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে ধারাবাহিকভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয় শিক্ষক সংগঠন নেতৃবৃন্দ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতারা ছবি তুলছিলেন। এসময় বাংলাদেশ সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অজিত পাল ও ঐক্য পরিষদের সাবেক নেতা বিপুল পুরকায়স্থর ধাক্কা লাগে। পরে বিষয়টি বাকবিতন্ডা থেকে মারামারিতে গড়ায়। শিক্ষক নেতা অজিতের ঘুষিতে বিপুল আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ওসমানীনগর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক নেতা বিপুল পুরকায়স্থ জানান, ‘শহিদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে অনেক লোকের ঝটলায় শরীরের ধাক্কা লাগাটা স্বাভাবিক। এ নিয়ে শিক্ষক অজিত পাল অশালীন আচরণ করেন এবং আমাকে আঘাত করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় নিস্পত্তি হয়েছে।’
শিক্ষক অজিত পাল জানান, ‘বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমানের কার্যালয়ে শেষ হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘শহীদ মিনার থেকে আমরা চলে আসার পর দু’জনের মধ্যে একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমরা তাদেরকে ডেকে এনে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।’